মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সামাদ আহমেদ আবির : ‘যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু…’ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুখের দিন চলছেই। চট্টগ্রাম থেকে মিরপুর, এবার সিলেটেও; জিতেই চলেছে দল।
তৌহিদ হৃদয়-সাকিব আল হাসানের ব্যাটে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ, বাকি কাজটুকু করেছেন বোলাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ইকবালের দল পেয়েছে রেকর্ড গড়া জয়।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইরিশদের ১৮৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে স্কোরকার্ডে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। বাংলাদেশের জন্য এটাই রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২০ সালে সিলেটেই জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা প্রত্যাশা মতো হয়নি বাংলাদেশের। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই সূচনা করেছে স্বাগতিক দল। সিলেটে আইরিশদের হারিয়েছে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসেবে তো বটেই, সব মিলে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
তার আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে। টস হেরে স্বাগতিক দল ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে। তার পর দুই ওপেনার ডোহানি ও স্টার্লিং দারুণ সূচনায় প্রভাব বিস্তার করছিলেন। ৬০ রানের এই জুটি সাকিব ভেঙে দিলে মুহূর্তেই বদলে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। দুই পেসার এবাদত হোসেন ও তাসকিনের আঘাত ধস নামালে সেখানেই ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
৭৬ রানে পড়েছে পঞ্চম উইকেট। তার পর বাকিটা ছেঁটে দিয়ে জয় তরান্বিত করেছেন নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন। শেষ উইকেট এবাদত তুলে নেওয়ায় ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস।
৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন এবাদত। ৪৩ রানে তিনটি নিয়েছেন নাসুম। ১৫ রানের বিনিময়ে দুটি মেডেন উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২৩ রানে একটি নিয়েছেন সাকিব। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা প্রত্যাশা মতো হয়নি বাংলাদেশের। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই সূচনা করেছে স্বাগতিক দল। সিলেটে আইরিশদের হারিয়েছে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসেবে তো বটেই, সব মিলে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে এই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৯ রানের জয় এসেছিল।
তার আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে। টস হেরে স্বাগতিক দল ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে। তার পর দুই ওপেনার ডোহানি ও স্টার্লিং দারুণ সূচনায় প্রভাব বিস্তার করছিলেন। ৬০ রানের এই জুটি সাকিব ভেঙে দিলে মুহূর্তেই বদলে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। দুই পেসার এবাদত হোসেন ও তাসকিনের আঘাত ধস নামালে সেখানেই ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
৭৬ রানে পড়েছে পঞ্চম উইকেট। তার পর বাকিটা ছেঁটে দিয়ে জয় তরান্বিত করেছেন নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন। শেষ উইকেট এবাদত তুলে নেওয়ায় ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস।
৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন এবাদত। ৪৩ রানে তিনটি নিয়েছেন নাসুম। ১৫ রানের বিনিময়ে দুটি মেডেন উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২৩ রানে একটি নিয়েছেন সাকিব।
সাকিবের ৭ রানের আক্ষেপ
প্রায় চার বছর পর সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৯ সালের ১৭ জুন শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপে তিন অঙ্কের ঘরে রান করেন। এর মাঝে ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও ৯৬ রানে বিদায় নেন।
এবারও আক্ষেপে পুড়লেন সাকিব, ৭ রানের জন্য। ৯৩ রানের ইনিংস খেলে থামলেন বাঁহাতি ব্যাটার। ৬৫ বলে ২ চারে পঞ্চাশ করার পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরকে পাঁচ চার মেরেছিলেন। এরপর সতর্ক ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৮তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের বলে পেছনে লোর্কান টাকারের গ্লাভসে ধরা পড়েন। ৮৯ বলে ৯ চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি ভেঙে যায়।
সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিং, হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরি
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও ফিফটির দেখা পেলেন বাঁহাতি ব্যাটার। ৬৫ বলে ৫৩তম হাফ সেঞ্চুরি করলেন সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ১০৩ বলে এই জুটির রান একশ ছাড়ায়। ফিফটির পর থেকে আগ্রাসী সাকিব। ৩৫তম ওভারেই হ্যারি টেক্টরকে পাঁচটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। পরের ওভারেই প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। ৫৫ বলে ৫ চারে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি। নাসির হোসেন ও ফরহাদ রেজার পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকে পঞ্চাশ করলেন হৃদয়।
ওয়ানডেতে সাকিবের ৭ হাজার রান
সাকিব আল হাসান ৭ হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলকে নাম লিখলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০তম ওভারে কুর্টিস ক্যাম্ফারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে এই কীর্তি গড়েন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। সাত হাজার ছুঁতে ২৪ রান দরকার ছিল সাকিবের।
ওয়ানডেতে হৃদয়ের অভিষেক
তৌহিদ হৃদয় পেলেন ওয়ানডে ক্যাপ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটারকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রেখেছে বাংলাদেশ। চোখে আঘাত লেগে প্রত্যাশিতভাবে এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে না মেহেদী হাসান মিরাজের।
প্রথম ওয়ানডেতে সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৮ (হৃদয় ৯২, সাকিব ৯৩, মুশফিক ৪৪, তামিম ৩, লিটন ২৬, শান্ত ২৫)।
আয়ারল্যান্ড : ৩০.৫ ওভারে ১৫৫/১০ (লক্ষ্য ৩৩৯) (ডকরেল ৪৫, ডোহানি ৩৪, স্টার্লিং ২২)।