সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
নিত্যপণ্যের চড়া বাজারে রমজান মাসের সমীকরণটা বড়ই গড়মিল। দেশের বিভাগ ও জেলা শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দাম কমার সুখবর নেই। আছে শুধু মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিযোগিতা।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগ খুলনার বাজারে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সব কিছুর দাম বেশি। শাক-সবজি থেকে ছোলা-তেল এমনকি প্রকারভেদে ফল; মূল্যের বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় সব পণ্য। এক মাংস ব্যবাসয়ী বলেন, খাবারের দাম বেশি হওয়ায় গরুতে প্রভাব পড়েছে। এ কারণে কেজিতে ৫০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।
সুখবর নেই বরিশালের বাজারেও। ডাল-চাল, তেল-চিনি, সব পণ্য আগের বছরের চেয়ে ১০-২০ টাকা বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। হতাশার সুর মাংসের বাজারেও।সিলেটে গত বছর রমজানে ছোলা কেজি প্রতি ৭০ টাকা বিক্রি হলেও এ বছর তা ঠেকেছে ৮০-১০০ টাকায়। আর মাছ-মাংসের বাজারে ক্রেতা থাকলেও দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সবাই। এদিকে ময়মনসিংহে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। চাল, আটা, ছোলা, খেজুর কিংবা চিনি, স্বস্তি নেই কোনো পণ্যে।
রাজশাহীর বাজারে ক্রেতা স্বস্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। রমজানের বাজারে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি। আর বরিশালের বাজারে গত বছর চিনি, ছোলা ৮০ ও ৭০ টাকা থাকলেও এক বছর ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ ও ১০০ টাকায়।বিভাগীয় শহরের যখন এমন পরিস্থিতি, তখন জেলা শহরের বাজারে নেই স্বস্তির গল্প। নওগাঁ গতবছর খেজুর ৬৩০ টাকা বিক্রি হলেও এ বছর তা ছুঁয়েছে ৯০০ টাকায়।
কৃষি প্রধান উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরের রমজানের বাজারও অস্থির। শাক-সবজি থেকে মাছ-মাংস সব কিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া। একই অবস্থা দেশের অন্যসব জেলায়ও। ক্রেতাদের হাঁসফাঁসের মাঝেই লাভের খাতা ভারি হচ্ছে মধ্য-স্বত্বভোগীদের।