1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে রেলের ভুমি অবৈধভাবে বিক্রির হিড়িক: কৃষি বন্দোবস্ত্মকৃত ভূমিতে নির্মিত হচ্ছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
  • ২৮৭ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের মৌলভীবাজার অঞ্চলের ১১টি স্টেশনে রেলের দু’পার্শ্বে কৃষি ভূমিতে বাসা/বাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের হিড়িক শুরু হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা,প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও রেলওয়ের সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে গড়ে উঠছে অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য,দোকানপাট,মার্কেট,অট্রালিকা ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্টানসহ নানা রকম স্থাপনা। শুধু তাই নয় একটি সিন্ডিকেট চক্র অবৈধভাবে ভাড়া ও প্লট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হতিয়ে নিচ্ছে। স্ট্রেশন বন্ধ থাকলেও রেলওয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী বাসা ও মার্কেট ভাড়া দিয়ে টাকা কামাই করছেন। স্ট্রেশন এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকার মূল্যবান ভ‚-সম্পত্তি কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে অবৈধভাবে বাণিজ্য করছেন। ফলে রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার কৃষিজমি ও ভ‚-সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের বিভিন্ন স্ট্রেশন এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকার মূল্যবান ভ‚-সম্পত্তি কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে আবার অনেকে না নিয়ে লীজ অবৈধভাবে বাণিজ্য করছে সিন্ডিকেট চক্র। রেলওয়ের বিভাগীয় অফিস থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অবস্থান করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধভাবে কোয়ার্টার এলাকায় প্লট বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রভাবশালী মহল কর্তৃক রেলওয়ের কৃষি বন্দোবস্ত নেওয়া জমিজমার সাথে পরিত্যক্ত জমি নিজেদের দখলে নিয়ে চড়া দামে প্লট আকারে ক্রয়-বিক্রয় চলছে। প্রভাবশালীরা টিনসেড, পাকা ও আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে ও ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এসব ঘর নিম্মআয়ের লোকজন ক্রয় করছেন আবার ভাড়া নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে রেলের দু’পার্শ্বে ভূমিতে দেদারসে বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে মূল্যবান ভ‚সম্পত্তি প্রকাশ্য দখলে নিচ্ছে। তারা অবাধে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে চললেও সম্পত্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। ভ‚সম্পত্তি বিভাগের বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তারা এসবের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রেলপথের পাশে এসব জমিতে গড়ে উঠা কিছু কলোনী সমূহে লোহা চুরি ও মাদক ব্যবসার আস্তানাও গড়ে উঠছে। স্টাফ কলোনিগুলো ঘিরে রমরমা বাণিজ্য চলছে। এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী কোয়ার্টার বরাদ্দ নিয়ে নিজেরা না থেকে বাহিরাগতদের ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করছেন। এছাড়া প্রভাবশালীরা জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত কোয়ার্টার দখল করে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন স্থাপনা। রেলওয়ে কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ হওয়া বাসায় বহিরাগতদের থাকার সুযোগ নেই। রেলওয়ের ভ‚-সম্পত্তি থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয়ের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। তবে অবৈধভাবে জমি বেহাত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে সেই সুযোগ থেকে হাতছাড়া হচ্ছে। ওই জোনের কুলাউড়া,টিলাগাঁও, লংলা,মনু, ভাটেরা,বরমচাল,শমশেরনগর,ভানুগাছ,শ্রীমঙ্গল,সাতগাওসহ ১১টি স্টেশনের পাশের জমি অবৈধ দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট নির্মিত হচ্ছেই। এসব স্ট্রেশনে সরজমিনে গেলে মনে হয় সিন্ডিকেট চক্রই মালিক। সরকার এনিয়ে সুষ্টু পদক্ষেপ গ্রহন করলে রক্ষা পাবে রেলের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।

সরজমিনে ভুক্তভোগী নারী/পুরুষ একাদিকরা বলেন- প্রতি মাসে বাসা বাসা বাড়া নিয়ে দিনযাপন করছি। ৫শত টাকা থেকে ৬হাজার টাকায় থাকতে হচ্ছে। টাকা না দিলে হুমকি দামকি এমন কি বের করে দেয় তারা। সরকার এদিকে নজর দিলে ভুমিহীনরা মাতা গোজার টাই পাবে ও সরকারের বিশাল সম্পদ রক্ষা ও দাবী জানাই।
কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে এভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাসাবাড়ি ও দোকান গৃহ গড়ে উঠছে। রেলওয়ের একটি সিন্ডিকেট চক্র অবৈধভাবে কোয়ার্টার এলাকায় প্লট বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হওয়া দরকার। ১১টি ষ্টেশনের পাশের জমি অবৈধ্য দথলদারের হাত থেকে উদ্ধারের জোর দাবী জানান।
এনিয়ে স্থানীয় একাদিক সচেতন ব্যক্তিরা জানান- আমরা গরীব অসহায় পরিবার। টাকা দিয়ে জমি ২/৪শতক জমি ছোট খাটো কাগজে কিংবা মৌখিকভাবে ক্রয় করেছি। আবার যারা আমাদের কাছে বিক্রি করছেন তারা প্রভাবশালী। কেহ কৃষি লীজ নিয়ে আবার কেহ ভুয়া কাগজ তৈরি করে বিক্রি করছেন। শুধু তাই নয় কেহ কৃষি লীজ নিয়ে বাসা বাড়ি,মার্কেট নিমান করছেন স্থানীয় রেলওয়ের কতিপয় কর্মকতা ও কর্মচারীদের যোজসাজসে।
ভুক্তভোগী নারী/পুরুষ একাদিকরা এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন- দখল করে ও লীজের নামে বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন- কৃষি লীজ নিয়ে কিভাবে ভবন ও মার্কেট নিমান করছেন। বছরের পর বছর বহাল তবিয়তে সরকারের ভুমি ক্রয় বিকি কওে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এইসব প্রতারক ও ভুমি খেকোদেন বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সরকারী সম্পদ উদ্ধার করা জরুরি।
সরজমিনে কথা হয় মছব্বির মিয়া,মনির আহমদ.অছাদ খান শামি আহমদ দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- অভিযুক্ত প্রভাবশালী মছব্বির মিয়া বলেন কৃষি কাজের জন্য লীজ নিয়েছেন। কিন্তুু বাসাবাড়ি মার্কেটসহ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্রয় বিক্রি করেছেন মর্মে স্বাকারোক্তি দিয়েছেন। অপর এক প্রশ্ন কৃষি জমি কিভাবে বিক্রি করলেন জবাবে তিনি মিথ্যাচার বলে আর কিছু ক্যাসেরার সামনে কতা বলতে ক্ষিপ্ত হন।
এব্যাপারে জুয়েল আহমদ,চেয়ারম্যান,শমশের নগর ইউনিয়ন পরিষদ,কমলগঞ্জ বলেন- কৃষি বন্দোবস্ত নিয়ে এভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাসাবাড়ি ও দোকান গৃহ গড়ে উঠছে। রেলওয়ের কর্মচারীরা অবস্থান করে সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধভাবে কোয়ার্টার এলাকায় প¬ট বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার গ্রজনের জোর আবদার জানান।
এব্যাপারে আইয়ুব আলী, স্টেশন মাস্টার,সাতগাও স্ট্রেশন,শ্রীমঙ্গল জানান- কয়েক বছর পূর্বে অভিযান চালিয়ে বহিরাগতদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। নতুন করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদে অভিযান চলবে।রেলের কোয়ার্টার ভাড়া ও জমি দখল, বিক্রির করে নেয়ার বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিপুর্বে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবৈধ্য দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য জানানো হয়েছে।

জামাল হোসেন, স্টেশন মাস্টার, শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- কয়েক বছর পূর্বে অভিযান চালিয়ে বহিরাগতদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। নতুন করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদে অভিযান চলবে।রেলের কোয়ার্টার ভাড়া ও জমি দখল, বিক্রির করে নেয়ার বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিপুর্বে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবৈধ্য দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য জানানো হয়েছে।

এনিয়ে রোমান উদ্দিন রুকন, স্টেশন মাস্টার, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান- অবৈধভাবে জমি বেহাত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ভুমি হাতছাড়া হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশনে ভুমি যারাই দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কতৃপক্ষ অনুমতি পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে কৃষি কাজে লীজকৃত ভুমিতে দোকান বাসা বাড়ি নির্মান এবং বিক্রি অপরাধ। যারাই এমন কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে মীর নাহিদ আহসান, জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- অবৈধ্যভাবে যারাই বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিক্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেলওয়ের ভুমি অবৈধভাবে দখলকারী সিন্ডিকেট চক্রের হাত উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সর্বস্তরের মানুষের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..