রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটি পঁচাত্তর সৃষ্টি করতে চায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা।
শনিবার (১ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলটির সভাপতি-সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে তামাশা করা ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি বলেন, প্রথম আলো আর বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, টার্গেট হলো সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলো তাদের নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। অনেকে বলেছেন যে, এটা তাদের একটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ ভুল নয়; একটি ফৌজদারি অপরাধ।’
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের প্রথম আলোর এই উদ্যোগ জাতিসত্তা বিনাশী অপতৎপরতা নয় কি? স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন। অথচ এই দিনে পলিটিক্যালি সিলেক্টেড বিশেষ এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্যে কি এই সংবাদটি মহান মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অর্জনকে অস্বীকার করার শামিল নয়?’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অভিযোগ করেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবেই দৈনিকটি এক বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে থাকে। আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন তারা বরাবরই বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন কী রকম ষড়যন্ত্র! নিউজ করা হয়েছে আজকে এই ঘটনায় একজন সম্পাদক এবং একজন রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং সংস্থা থেকে যেসব রিপোর্ট এসেছে, প্রত্যেকে বলছে যে একে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এরা অত্যন্ত চতুর। আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। তাই এ খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রিপোর্ট করার জন্য, টকশোতে অংশ নেবার জন্য সরকার কি একজন লোকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? তাহলে মিথ্যা সংবাদ আজকের সারা দুনিয়ায় রটানো হচ্ছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যই রিপোর্ট করাতে এই সাংবাদিক, এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের শত্রু নয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণ, সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নয়, কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ। বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে। ‘প্রত্যেকের সম্পাদকীয় পলিসি আছে। (প্রথম আলো) আওয়ামী লীগের সাথে শত্রুতা, যেটা বিএনপির রাজনীতি তারা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে আজকের বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা যা করেছেন, অষ্টম ওয়েজবোর্ডসহ সাংবাদিক কল্যাণ ভাতাসহ সাংবাদিকদের জন্য যেসব সাংবাদিক কল্যাণের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে শেখ হাসিনা সরকার এবং পার্সোনালি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী তিনি এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আপনারা আমাদের শত্রু নয়। কেউ কেউ আমাদের সাথে শত্রুতা করছে। আমরা আজকে এ বিষয়গুলো কখনো আপনাদেরকে বলিনি। আজকে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে৷ শুনতে শুনতে।
‘এসব অপবাদ এসব মিথ্যাচার চলতেই আছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার, মিথ্যাচার, তারপর অনলাইনে ফেসবুকের কুৎসিত প্রচারণা; পার্সোনালি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা, গালিগালাজ।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম? সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।’