1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

যাকাত দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৬৬ বার পঠিত
আফতাব চৌধুরী

ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি। (ক) ঈমান, (খ) নামাজ, (গ) রোজা, (ঘ) হজ্ব ও (ঙ) যাকাত। প্রথম তিনটি হল প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ, অবশিষ্ট দুটি হল কেবল ধনীদের জন্য ফরজ।
রোজার আরবি প্রতিশব্দ হল ‘সাওম’ বাংলায় যার অর্থ হল-বিরত থাকা, আত্মসংযম অবলম্বন করা। রাত্রির শেষ ভাগ অর্থাৎ সুবেহ সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্তআল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত পানাহার ও যৌন সম্ভোগসহ যাবতীয় ইন্দ্রিয় তৃপ্তিকর কাজ হতে বিরত থাকাকে রোজা বলে। রোজা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের উপর আদায় করা ফরজ বা অত্যাবশ্যকীয়।
আল্লাহ পাকের প্রতিটি বিধান বিভিন্ন রকমের ফজিলত ও যুক্তি সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। তাছাড়া তাতে অসংখ্য দৈহিক, জাগতিক ও পারলৌকিক মহোপকার নিহিত আছে। যেমন নামাজের মধ্যে সুরা কিরাতের মারফতে আল্লাহ পাকের প্রতি গভীর আনুগত্য, প্রশংসা, নির্ভরশীলতা, সাহায্য ভিক্ষা, জামাতের দ্বারা ঈমাম তথা নেতার নেতৃত্ব স্বীকার, পরস্পর ভ্রাতৃত্ব, সাম্য এবং ছোট-বড়, উচু-নিচের বৈষম্য মোচন। এস্তেঞ্জা অজু, গোসল ইত্যাদির দ্বারা দেহমনের পবিত্রতা অর্জনে শিক্ষা লাভ ও অভ্যাসে পরিণত হয়। তদ্রæপ রোজা দ্বারা উপবাসের অভ্যাস অবলম্বনে গরীব, দুঃখী ও নিরন্নদের ক্ষুধার কষ্ট অনুভবের সুযোগ লাভ হয় এবং তা দ্বারা তাদের প্রতি করুণা ও মমতা সৃষ্টি হয়ে দানশীলতা গুণের বিকাশ হয়। তাছাড়া রোজা দ্বারা মানুষের স্বাস্থ্যগত মহা উপকার সাধিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশীয় বিখ্যাত ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যবিদগণের মতে, মানুষের পাকস্থলী অনবরত খাদ্য হজমজনিত পরিশ্রমে শ্রান্তও ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাদের কিঞ্চিত বিশ্রাম করার সুযোগ দিলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী বটে। বছরে বারো মাসের মধ্যে রোজার একটি মাস এভাবে পাকস্থলী তথা পরিপাক যন্ত্রকে বিশ্রাম দেওয়া হয়।
এতদ্ব্যতীত রোজার অন্য আর একটি গুণ হলো, মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে অনবরত পানাহার করতে করতে স্বাভাবিকভাবে অলস, অকর্মণ্য ও বিলাসপ্রিয় হয়ে পড়ে। এ সমস্ত বদ অভ্যাসগুলো দূর করার জন্য সাময়িকভাবে পানভোজন ত্যাগ করলে তা যথেষ্ট কার্যকরী হয় এবং তা দ্বারা মানুষ আবার কর্মঠ, সক্রিয়, সহনশীল. কষ্টসহিষ্ণু ও পরিশ্রমী হয়ে উঠে। এ সমস্ত পার্থিব উপকার ছাড়া রোজার ভিতর অসংখ্য নৈসর্গিক তথা পারলৌকিক বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত নিহিত রয়েছে। এখানে তার কতিপয় উক্তি কোরআন হাদিস থেকে উদ্ধৃত্ত করা হল। কুরআনে পাক কালামে বর্ণিত হয়েছে-‘রমজান শরীফ এমন একটি মহান মাস যাতে মানবের হেদায়াত এবং হেদায়াত বিষয়ক প্রকাশ্য শিক্ষাপূর্ণ গ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা সত্যকে মিথ্যা করতে এবং খাঁটিকে মেকি হতে পার্থক্য করে। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে কেউ রমজান মাস প্রাপ্ত হয় সে যেন অবশ্য তখন রোজা রাখে।’ আব্দুল্লাহ ইবনে মসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, হুজুর (স.) বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত রোজা রাখে, মাতৃগর্ভ হতে যে রূপ নিষ্পাপ অবস্থায় লোক জন্মগ্রহন করে, রমজান মাসের ত্রিশটি ফরজ রোজা রাখলে লোক তদ্রæপ গুণাহমুক্ত হয়ে যায়। হুজুর (স.) অন্য একটি হাদিসে বর্ণনা করেছেন-প্রত্যেক জিনিসের পরিষ্কারের জন্য যেমন রেতের প্রয়োজন, মানব দেহ-মনের গুনাহ পরিষ্কারের রেত হল রোজা। হাদিসে কুদসীতে বলা হয়েছে-‘বান্দাহগণ কষ্ট স্বীকার করে আমার খুশীর জন্য রোজা রাখে, অতএব আমি নিজ থেকে তার প্রতিদান প্রদান করবো।’ অন্য একটি হাদিসে আছে- ‘রোজা ধৈর্য্যরে অর্ধেক এবং ধৈর্য্য ঈমানের অর্ধেক।’ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- ‘রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি আনন্দ, একটি হল ইফতারের সময় আর অন্যটি হল তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতের সময়।’ এক জায়গায় হুজুর (স.) বলেছেন, ‘রোজাদার লোকের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহতায়ালার নিকট মেশক ও জাফরান হতে অধিক পছন্দনীয়।’ রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে আরো বর্ণিত রয়েছে, ‘এ মাস এমন একটি ফজিলতপূর্ণ ও মহান মাস যে, আল্লাহ পাক এ মাসে দোয়া কবুলিয়তের দরজা উন্মুক্ত রাখেন অর্থাৎ এ মাসে এবাদত করে প্রার্থনা করলে আল্লাহতায়ালা নিশ্চয় তা কবুল করেন। তাছাড়া এ মাসে একটি মাত্র ইবাদত দ্বারা অন্য মাসের সত্তরটি ইবাদতের সওয়াব লাভ করা যায়। তাছাড়া এ মাসে আল্লাহ তায়ালা বেহেশত সমূহের দরজাগুলো উন্মুক্ত এবং দোজখসমূহের দরজাগুলো বন্ধ করে রাখেন। তাছাড়া শয়তানকে এ মাসে বন্দি করে রাখেন।
এ ছাড়া রোজার ফজিলত সম্পর্কে দরজাগুলো উন্মুক্ত এবং দোজখসমূহের দরজাগুলো বন্ধ করে রাখেন। তা ছাড়া শয়তানকে এ মাসে বন্দি করে রাখা হয়। এছাড়া রোজার ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য রেওয়ারেত মজুদ রয়েছে। করুণাময় আল্লাহ আমাদিগকে অধিক পরিমাণে তছবিহ-তেলাওয়াতসহ রোজা রাখার তৌফিক দান করুন এবং হুজুর (স.) সফায়েত নছিব করুন। আমিন।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..