1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

স্বপ্ন পুড়েছে আগুনে, দুঃস্বপ্ন এখন ঋণের বোঝা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৮৩ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ‘বঙ্গে আমার দোকান তো সবগুলোই পুড়েছে। পাশাপাশি এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের পাঁচতলায় একটি গোডাউনে ৮০ লাখ টাকার মাল ছিল, তাও পুড়ে গেছে।
ঈদ উপলক্ষে পরিচিতদের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। ’

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবাজারের বিপরীত পাশে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের নিচে একটি দোকানের সিঁড়িতে বসে ফোনে কোনো এক স্বজনের সঙ্গে এসব কথাই বলছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তসলিম মিয়া। তার বাসা পুরান ঢাকার আগামাছি লেনে। সকাল সাড়ে ছয়টায় তিনি আগুন লাগার খবর শুনতে পান।

তসলিম মিয়া গতরাতেই ঢাকা সুপার মার্কেটের দোতলায় তার তিন দোকানে মাল তুলেছিলেন। সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি একটি দোকানের মালামালও রক্ষা করতে পারেননি।

তসলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আর কিছুই নাই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক টাকার মালও বের করতে পারিনি। রোজার দিনে ৭০ টাকা পকেটে নিয়ে ঘুরতেছি। এখনো রোজা ভাঙি নাই। বাসা থেকে বের হইয়া আইছি। দোয়া কইরেন ভাই। ’

তিনি বলেন, ‘ঈদে পরিচিতজনদের কাছে চাইলেই ঋণ পাওয়া যেত। কারণ তারাও জানেন ঈদ উপলক্ষে ভালো ব্যবসা হয়। এ বছর ভেবেছিলাম ঈদে ভালো বেচাকেনা হবে। ব্যবসা করে নিজেও লাভ করব এবং ঋণও পরিশোধ করব। কিন্তু এখন আমার সবকিছুই শেষ। ’

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তসলিম মিয়ার মতো সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তারা ব্যাংক বা পরিচিতজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল তাদের চোখে। কিন্তু সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। তাদের শুধু দোকানই পুড়ে যায়নি, পুড়েছে স্বপ্নও।

ঘটনাস্থলে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান তাদের অসহায়ত্বের কথা। বঙ্গবাজারের পাশে এনেক্সকো টাওয়ারে শাড়ি ও লেহেঙ্গার দোকান ছিল মো মোখলেস মিয়ার। তার পাঁচটি দোকানের মধ্যে শুধু এই দোকানের মালই তিনি রক্ষা করতে পেরেছেন। বঙ্গবাজার মার্কেটে মোকলেস বস্ত্র বিতান নামে তার বাকি চার দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত রাতেও অনেক নতুন মাল দোকানে উঠিয়েছিলেন বলেন জানান তিনি।

মো. মোখলেস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার পাঁচটা দোকানের মধ্যে চারটা দোকানে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার পুড়ে যাওয়া চারটি দোকানে ঈদ উপলক্ষে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার মাল উঠিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ২০ লাখ টাকা ব্যাংক এখনো পাবে। এই টাকা কীভাবে শোধ করব, জানা নেই আমার। ’

ঈদের আগে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে বেশিরভাগ দোকানিই সর্বস্ব হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মনে শঙ্কা যে, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো কি তারা ফিরে পাবেন, যাতে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে কীভাবে দ্রুত নতুন করে ব্যবসা শুরু করা যায় সেই চিন্তায় আছেন অনেক ব্যবসায়ী।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..