সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন হয়নি। বুধবার সকালেও বঙ্গবাজারে আগুনের ধ্বংসস্তুপে ও এনেক্সকো টাওয়ারের ৫ম তলা থেকে উপরের অংশে ডাম্পিং (পানি ছিটানো) করছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট সম্পূর্ণ নির্বাপনে কাজ করছে।
যদিও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক গত মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর জানিয়েছিলেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, ভেতরে কাপড়ের গোডাউন (গুদাম) রয়েছে, ওখান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পানি ছিটানো হচ্ছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত বঙ্গবাজারে লাগা কোনো আগুনই পুরোপরি নির্বাপন হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট পুরোপুরি অগ্নিনির্বাপনে ডাম্পিং করছে। এখনো জানা যায়নি কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
সকালে দেখা যায়, বঙ্গবাজার এনেক্সকো টাওয়ারের পূর্ব দিকের ৫ তলায় এবং ৪ তলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছে। আগুন যেন আবার জ্বলে না উঠে বা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য পানি ছিটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এ সময় অনেককে মালামাল বের করতে দেখা গেছে।
ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এনেক্সকো টাওয়ারের উপরে শুধু কাপড়ের দোকান ও গুদাম। সেখানে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। অবশিষ্ট মালামালের ক্ষতি যেন কম হয়, তাই পানি দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ৫০টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আটজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে শেখ হাসনিা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার বলেন, গুরুতর আহত দুজন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আরও কিছুদিন তাদের চিকিৎসা নিতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছিলেন, আগুনে বঙ্গবাজার ও আশপাশের ৬টি মার্কেটের প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
বঙ্গবাজার আগুনের বিষয়ে পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য ৭ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে।