1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

যে কারণে ইউক্রেন নিয়ে পরিকল্পনা ফাঁসকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :রুশবিরোধী পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পরিকল্পনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ফাঁস’ হয়েছে। এই ঘটনার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন তদন্ত শুরু করেছে। ইউক্রেন যদিও প্রকাশ্যে এই ফাঁসকে রুশ অপপ্রচার হিসেবে তুলে ধরা চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশটির কর্মকর্তারা ভবিষ্যৎ তথ্য ফাঁস ঠেকানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করছেন। এই নথি ফাঁসের ঘটনা ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

রাশিয়ার নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কতটা গভীরে অনুপ্রবেশ করেছে তা-ই উঠে এসেছে পেন্টাগণের ফাঁস হওয়া নথিতে। এসব নথিতে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাবাহিনীকে বিধ্বস্ত শক্তি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।

কেবল মস্কোর হামলার সময় নয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কেও আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রতিদিনের তাৎক্ষণিক সতর্কতা পেতো বলে জানা গেছে এসব নথিতে। এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্যগুলো ইউক্রেনের কাছে পাঠাত যুক্তরাষ্ট্র। আর তা পর্যালোচনা করে মস্কোর হামলার জবাবে কীভাবে প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা যায় তা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতো ইউক্রেন।

ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এবং মার্চের শুরুর দিকের হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোতে বিমান প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্রের সমালোচনামূলক ঘাটতির রূপরেখা তুলে ধরার পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতের চারপাশে রুশ সেনাদের অর্জন নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপরও গুপ্তচরবৃত্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা আসলে ইউক্রেন লড়াইয়ের কৌশলগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি পেতে ওয়াশিংটনের চেষ্টার প্রতিফলন।

নতুন নথিগুলোতে উঠে এসেছে, রুশ পরিকল্পনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের জানাশোনা বেশি। মস্কোর ভবিষ্যৎ আক্রমণ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের তাই আগেভাগে সতর্ক করতে সক্ষম।

এই তথ্যগুলো এমন একটি ধারণাকে শক্তিশালী করছে যা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে স্বীকার করে আসছেন। তা হলো- ইউক্রেনের পরিকল্পনার চেয়ে রাশিয়ার সামরিক অভিযান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে যুক্তরাষ্ট্রের।

গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা প্রায়শই কঠিন, কখনও কখনও ভুল হয় এতে। তবে ফাঁস হওয়া এস নথি সম্ভবত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের বৃহত্তম স্থল যুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির কার্যকারিতার সবচেয়ে চমৎকার চিত্র তুলে ধরছে।

ফাঁস হওয়া নথি পর্যালোচনা করে রাশিয়ার সতর্ক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ রাশিয়ার কোন কোন এজেন্সি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জানে যুক্তরাষ্ট্র, মস্কো তা এখন বের করে ফেলতে পারবে। এতে ইউক্রেন পড়বে বিপদে। সতর্ক রাশিয়াকে তখন সামলাতে বেগ পেতে হবে ইউক্রেনীয় সেনাদের।

ফাঁস হওয়া নথি ইতোমধ্যে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে ওয়াশিংটনের গোপনীয়তা রাখার সক্ষমতা নিয়েও।

নথিগুলো কূটনৈতিক সম্পর্ককেও আঘাত করতে পারে বিভিন্নভাবে। কারণ নথিগুলো আরও স্পষ্ট করছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল রাশিয়ার ওপর নয়, তার মিত্র দেশগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি করছে।

ফাঁস হওয়া এসব গোপন নথি অন্তত পাঁচ সপ্তাহ আগের। সবচেয়ে সাম্প্রতিক নথিগুলোও গত ১ মার্চের। তবে সেসব নথিতে কবে থেকে ইউক্রেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের পাল্টা হামলা শুরু করবে, সে বিষয়সহ অভিযান নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনার বিষয় উঠে আসেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফাঁস হওয়া নথির পৃষ্ঠার সংখ্যা প্রায় ১০০ হতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকেরা ৫০টির বেশি পৃষ্ঠা পর্যালোচনা করতে পেরেছেন।

প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য রিপাবলিকান নেতা মাইক গ্যালাগার বলেছেন, আগামী সপ্তাহে কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হলে এই বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হবে। যে বিপুল নথি ফাঁস হয়েছে তা অনেক বড় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সমস্যা। আমরা এমন বিষয়ের কথা বলছি যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এবং ইউরোপ ও বিশ্বজুড়ে সিআইএ-র উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..