1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে বোরো ধানের ৭০শতাংশই চিটা: কৃষকের করুন আর্তনাদ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৮৪২ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: ভরা বোরো মৌসুমে এবার কৃষকদের কপাল পুড়েছে। খরা আর ব্লাস্ট রোগের কবলে পড়ে বোরো ধান জ¦লে একেবারে চৌচির হয়েছে। দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি ও কাউয়াদীঘি হাওর,হাইল হাওরসহ মৌলভীবাজার জেলার ছোট বড় হাওরগুলোতে বোরো মৌসুমের ব্রি ২৮ ও ২৯ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এতে জ¦লে পুড়ে ছাই হয় কৃষকদের কাঙ্খিত এ দুই জাতের ধান। চিটায় পুড়ে জেলা জুড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বোরো জমির ধান নষ্ট হয়েছে এবার। তবে, কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ৬০ হাজার ৫৭ হেক্টর বোরো জমির মধ্যে পুরো জেলায় ১শ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জমিতে ফেলে আসা ধান ও কৃষকদের সাথে আলাপচারিতায় কৃষি বিভাগের সাথে তেমন কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক এলকায় প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়েছে এবার।
সরজমিনে কাউয়াদীঘি, হাকালুকি,হাইল হাওর ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট হওয়াতে কৃষকেরা ধান না কেটে বাড়িতে চলে গেছেন। মঙ্গলবার দিন ব্যাপী মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত কাউয়াদীঘি হাওরে গেলে কান্নাবিজড়িত কন্ঠে এমনটা জানান হাওর পাড়ের কৃষকেরা। তাদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কাউয়াদীঘি হাওরের উত্তর অংশের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রাম এলাকায় গেলে, আলাপচারিতা হয় কৃষক আফিজ মিয়া’র সাথে। তিনি বলেন, অন্যের জমি এনে ৫ কিয়ার ব্রি ২৮ জাতের ধান রোপণ করেছিলাম। “মরকি আর খরা এসে পুরো জমির ফসল জ¦ালিয়ে দিলো”। ৫ কিয়ার জমি থেকে ৪/৫মন ধান পেয়েছি। একই গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম মিয়া বলেন, ২৫ কিয়ার জমি চাষাবাদ করেছি। সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ মন ধান পাবো। তিনি জানান, ভালো ফসল হলে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার ধান গোলায় তুলতে পারতাম। একই গ্রামের কাউয়াদীঘি হাওর এলাকার রেমান মিয়া বলেন, মনে বহু আশা নিয়ে বোরো চাষাবাদ করেছি। ২ কিয়ার জমি থেকে মাত্র ৩মন ধান পেয়েছি। “এখন কামলা খরচ কিভাবে দেবো ভেবে পাচ্ছি না”। হাওর পাড়ের সুমন মিয়া,জাফর মিয়া ও সুরমান আলী বলেন, বর্গা নিয়ে ১৭ কিয়ার জমি চাষাবাদ করেছি। ৮ কিয়ার জমির ধান জ¦লে ছাঁই হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৪ মন ধান পেয়েছি। তারা জানান, অধিকাংশ জমিতে কাচি লাগাইনি এখনো। ধান মরে যাবার কারণে ফেলে এসেছি। তারা আরও বলেন, পুরো ফসল হলে প্রায় দেড়শো মন ধান পেতাম। তবে, হাইব্রিট জাতের ফলন কিছুটা ভালো হয়েছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সামছুদ্দিন বুধবার বিকেলে বলেন, জেলার হাওর অঞ্চলে ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে উচু এলাকায় ফলন ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, এবার হাওর অঞ্চলের ১শ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। জেলা জুড়ে ৬০ হাজার ৫৭ হেক্টর জমি আবাদ হয়েছে। এবার ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ২লাখ ৩৫ হাজার মেঃ টন ধান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..