মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: দেশের কোথাও করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক আকার ধারণ করলে স্থানীয় প্রশাসন পুরো জেলায় বা এর কিছু অংশে লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে। সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা স্থানীয় প্রশাসনকে এই ক্ষমতা দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের জন্য দেশের যে স্থান ঝুঁকিপূর্ণ বা হার্মফুল সেখানে লকডাউন দেয়ার জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।করোনাসংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির কয়েকটি জেলায় লকডাউনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অলরেডি ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), সিভিল সার্জন, চেয়ারম্যান বা মেয়রদের বলেই দেয়া আছে যদি তারা মনে করেন, কোনো জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ, সেক্ষেত্রে তাদের সুবিধা অনুযায়ী তারা এটা করে দিতে পারবেন।সচিব বলেন, ‘ইচ্ছা করলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে। তাদেরকেও আগেই বলে দেয়া হয়েছে। যেমন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এটা কিন্তু ওখান থেকেই সাজেশন এসেছে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অন্যান্য জেলাকে বলে দিয়েছি, যদি মনে করে পুরো জেলা না করে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকা লকডাউন করতে হবে, সেটাও বলে দেয়া হয়েছে। যেভাবে তারা পরামর্শ দেবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কেবিনেটও ওই কথাই বলেছে। একটা লকডাউন চলছে। আর যদি কোনো লোকাল জায়গায় কোনো রকম মনে হয়। যেমন গত বছরও আমরা কোনো কোনো জায়গায় (লকডাউন) করেছি। এটার জন্য অসুবিধা হবে না।কিছু জেলার অক্সিজেন সংকটসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ইতিমধ্যে ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, জেলাগুলোয় যেন তাড়াতাড়ি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। আইসিইউ এবং হাই ফ্লো অক্সিজেন কীভাবে করা যায় অথবা মেডিকেল কলেজগুলোতে সিরিয়াস পেশেন্টগুলোকে আগে শিফট করার চেষ্টা করেন। আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হলে তাহলে আলাদা রাখার জন্য বলা হয়েছে।’
মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আরেকটা বিষয় আছে। এটা বারবার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো ক্যাবিনেট। আপনারা বারবার অনুরোধ করছেন কিন্তু তারপরও দেখা যায় অনেক লোক মাস্ক পরেন না। এটা তো আমাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।সচিব বলেন, ‘ আমরা বারবার বলছি, এটা কমিউনিটি ডিজিস। আমাদের সবাইকে যার যার জায়গা থেকে আরও কেয়ারফুল হওয়ার সুযোগ আছে। আমরা যদি সবাই মাস্ক ব্যবহার করি, স্যানিটাইজার ব্যবহার করি নিশ্চয়ই এটা কমে যাবে।’