শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোট:দক্ষিণ আমেরিকার গায়ানায় স্কুল ছাত্রাবাসে অগ্নিকাণ্ডের সময় উদ্ধার হওয়া শিশুদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
গায়ানায় একটি স্কুল ছাত্রাবাসে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২০ শিশু নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে আগুনের সূত্রপাত হলে ছাত্রাবাসে শিশুরা আটকা পড়ে। দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর উপকূলে ভেনেজুয়েলা ও সুরিনামের মধ্যে অবস্থিত দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের প্রেসিডেন্ট এ ঘটনাকে ‘বড় বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গায়ানার মাহদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি বলেছেন, ‘এটি একটি বড় বিপর্যয়। এটি ভয়াবহ, এটি বেদনাদায়ক।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা আগুনে অনেক সুন্দর আত্মা হারিয়েছি। আমরা এই শিশুদের, তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের প্রার্থনা অব্যাহত রাখতে চাই।
’
প্রেসিডেন্ট ইরফান বলেছেন, তিনি রাজধানী জর্জটাউনের দুটি বড় হাসপাতালে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে চিকিৎসার প্রয়োজন এমন প্রতিটি শিশুকে চিকিৎসা পাওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবসন বেন দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জর্জটাউনের প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মাহদিয়াতে ব্যক্তিগত ও সামরিক বিমান পাঠানো হয়েছে, কারণ অঞ্চলটি ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত চিকিৎসা সরবরাহ এবং মেডিভ্যাকসহ সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে পাঁচটি বিমান মাহদিয়াতে যাত্রা করেছে।
এএফপির একজন সাংবাদিকের মতে, অন্তত একটি বিমান তিনজনকে নিয়ে ইতিমধ্যে জর্জটাউনে পৌঁছেছে।
এদিকে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য নাতাশা সিং-লুইস আগুনের কারণ অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে কিভাবে এই ভয়ানক ও মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে। এই ধরনের ট্র্যাজেডি যাতে আবার না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, গায়ানা আট লাখ জনসংখ্যার একটি ছোট ইংরেজিভাষী দেশ এবং একটি সাবেক ডাচ ও ব্রিটিশ উপনিবেশ।
দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম মাথাপিছু তেলের মজুদ ধারণ করে। এটি দক্ষিণ আমেরিকার দরিদ্রতম দেশগুলোট মধ্যে একটি। দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতাংশ বনভূমি নিয়ে গর্ব করে।