1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলীর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইতিহাস গ্রহ্ণ “মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঠিকানা” গ্রহ্ণ পাঠ প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩
  • ৮১ বার পঠিত

 

। মোয়াজ্জম হোসেন মাতুক।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের হাজার বছরের ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধাগন জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। যারা জীবনকে বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়া করে ছিলেন বাঙ্গাঁলি জাতি চীর দিন তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গেঁ স্মরন করবেন। দূঃখও দূর্ভাগ্য জনক ভাবে এ জাতির মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের লিপিবদ্ধ পরিপূর্ন ইতিহাসে নেই- এখন পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই তৈরী হয় নি। ব্যক্তিগত, আঞ্চলিক, কিছু প্রাতিষ্টানিক উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের খন্ডিত ইতিহাস রচিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাধীন বাংলাদেশে বহু দলীয় গতন্ত্রের প্রর্বতক, মুক্তিযুদ্ধের মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এর তৎকালীন প্রোঃ ভিসি প্রফেসর ডক্টর মফিজ উল্লা কবিরকে আহŸায়ক এবং দেশের বিশিষ্ট কবিও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমানকে সদস্য সচিব নির্ব্বাচিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্নাঙ্গঁ ইতিহাস রচনার যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই জাতীয় কমিটি জাতীয় সাহিত্যিক সাংবাদিক গবেষক বুদ্ধিজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে পনেরো খন্ডের যে ইতিহাস রচনা করে ছিলেন তা দেশও জাতি কতৃক তথ্য উপাত্ত হিসাবে খ্যাত ও স্বীকৃত। ব্যক্তি পর্য্যায়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কথক সংঘটক লেখক সাংবাদিক এম,আর, আখতার মুকুলের “আমি বিজয় দেখেছি” সবচাইতে তথ্য বহুল, বিশ্বাস যোগ্য প্রামান্য গ্রহ্ণ। বহুল পঠিত। প্রশংসিত। একাধিকবার পূনঃ মুদ্রিত। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রহ্ণ গুলির মধ্যে রনাঙ্গঁনের বীর রচিত গ্রহ্ণগুলি তথ্য বহুল। আকর্ষনীয়। এই তেইশ সালে এসে একাত্তোরের অকুত ভয় বীরগন একাত্তর বছর পেরিয়ে একাশির কাছাকাছি। জীবন সায়োহ্ণে। অনেকেই পরলোকে। কানাডা প্রবাসী একাত্তোরি বীর সুলায়মান আলী বিগত একুশের বই মেলায় নিজ উদ্যোগে বের করেছেন “মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঠিকানা” গ্রহ্ণ খানি। সাহিত্যের ভূবনে নিতান্তই নবীন ও অনভিজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা সুরায়মান আলীর এই গ্রহ্নের সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা, কবি ও নাট্যকার আব্দুল মতিন। গ্রহ্ণে পত্রস্থ তথ্য পরিবেশিত তথ্যের সঙ্গেঁ প্রাসঙ্গিঁক নয়। বরং অপ্রাসাঙ্গিঁক। অনাকাংখিত ও অনভিপ্রেত ও বটে। আমি কোন সাহিত্যিক সাংবাদিক নই- একজন রাজনৈতিক কর্মি ও সংঘটক হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ভাই বন্ধু গুরুজনের সঙ্গেঁ সম্পর্ক যুক্ত আছি। একজন নিয়মিত ও পরিশ্রমী পাঠক হই। মহান মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা লিখিত এবং একজন রাজনীতিবিদ কবিও নাট্যকার সম্পাদিত ও ভূমিকা লিখিত গ্রহ্ণ খানি নামাকরনের মর্য্যাদা রাখতে পারে নি, বরং গ্রহ্ণ খানি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রনোদিত, অসত্য, এক পেষে এবং একতরফা আত্বপ্রচার দুষে দুষ্ট। বিদগ্ধ সমালোচকদের মতে আত্বজীবনী বরাবরই আত্বপ্রচার দুষে দুষ্ট। তবে গ্রহ্ণ খানি গ্রহ্ণকারের আত্বজীবনী কিংবা ভ্রমন কাহিনী ও নয়, হলেও তা তাঁর নিজের ব্যাপার, কিন্তু গ্রহ্ণ খানিতে গ্রহ্ণকার এর এবং মুখবদ্ধ লিখিত সম্পাদক সাহেব স্বাধীনতার মহানঘোষক জেড ফোর্স এর অধিনায়ক একজন সেক্টার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান এর মুক্তিযুদ্ধ এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় ঐতিহাসিক অবদানকে অস্বীকার অবমূল্যায়ন, সৌজন্য ও শিষ্টাচার বহির্ভূত ভাবে অসত্য উক্তি, সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদ বিরোধী গন আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী, একাধিক মেয়াদের সাবেক সফল প্রধান মন্ত্রী বি,এন,পি,র চেয়ার পার্সন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গেঁ অসত্য ও অসৌজন্য মূলক উক্তি করেছেন। বর্তমান সরকার এর দয়া, করুনা ও অন্যায় লাভের দুরাশায় স্বাধীনতা উত্তর কালের শেখ মুজিব সরকার এর স্ববিরোধী প্রশংসা করে গ্রহ্ণকার গ্রহ্ণকারের কথায় বলেন- “নয় মাসের মাথায় সংবিধান প্রনয়ন” বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় ইত্যাদি গঠন মূলক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে যখন অগ্রসর হচ্ছিলেন। তখনই দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র কারী ঘাতক চক্র ও মুশতাক, জিয়া, ফারুক গং রা একাট্রা হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট ভোররাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ২১ বছর পর বাঙ্গাঁলি জাতির ভেন গার্ড মুক্তিযোদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনের ম্যেন্ডেট নিয়ে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হন। বিকৃত ইতিহাস, সামরীক শাসক, বি,এন,পি, জামাত এর সমন্বয়ে গঠিত জোট সরকার সৃষ্ট ২১ বছরের জঞ্জাল সাফ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্য বোধ ও চেতনাকে পূনঃপ্রতিষ্টা করার জন্য প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন বঙ্গঁবন্ধু কন্যা প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা”-। সত্য প্রকাশ একজন সত্যিকার প্রকৃত লেখকের ইমানি দায়িত্ব। গ্রহ্ণকার একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ও চাটুকারিতা করতে গিয়ে মিথ্যাচার করলেন। বর্তমান প্রজন্মের তরুন পাঠক হয়ত দেখেন নি, কিংবা জানেন না যে, গ্রহ্ণকার মোঃ সুলায়মান আলী শেখ মুজিব সরকার এর সমর্থক ছিলেন না, গ্রহ্ণকার ছিলেন স্বাধীন বাংলার প্রথম বিরোধী দল জাসদ এবং জাসদ ছাত্র লীগ এর নেতা। সরকার এর প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি। তখন বি,এন,পি জাতীয় পার্টির জন্ম হয় নি, জামাত-মুসলিম লীগ নিষিদ্ধ ছিল। কোন সাংঘটনিক কার্য্যক্রম ছিল না। তখন জেনারেল শফি উল্লা বীর উত্তম ছিলেন সেনা বাহীনির প্রধান। জেনারেল জিয়া ছিলেন উপপ্রধান মাত্র। পনেরোই আগষ্টের নির্মম হত্যা কান্ডের পর তিন বাহিনীর প্রধান খুনী মুশতাক সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। পচাত্তোর উত্তর রাজনৈতিক সংকট কালে মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়া সেনা প্রধানের দায়িত্ব ভার নিয়ে সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড পূনঃ প্রতিষ্টা করেন। ১৯৮২ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল এইচ এম এর্শাদ আর্মির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গঁ করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাদ এর মাধ্যমে জাষ্টিস সাত্তার এর নির্ব্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সামরীক আইনজারী করতঃ নয় বছর ঝুলুম নির্যাতন চালান কেনা বেচার রাজনীতি শুরু করেন। বেগম খালেদা জিয়া শহীদ প্রেসিডেন্টি জিয়ার শাহাদাত বরনের পর বি,এন,পি,র দায়িত্বভার নিয়ে মাঠে ময়দানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। আমরা তখন বি,এন,পি,র নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোটের মাধ্যমে সামরীক স্বৈর শাসক এর্শাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রীয়, মামলা মোকদ্দমা হয়রানীর সম্মুখীন হই। তখন গ্রহ্ণকার সুলায়মান আলী জেনারেল এর্শাদের জাতীয় পার্টির যুব সংঘটন জাতীয় যুব সংহতির নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। স্থানীয় জাপা নেতৃবৃন্দের ছত্র ছায়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছেন। নয় বছরের এর্শাদী স্বৈর শাসনের শরীক, অংশীদারও উপকার ভোগি গ্রহ্ণকার মুক্তি যোদ্ধা সুলায়মান আলী গ্রহ্ণের মুখবন্ধ লিখক কবি আব্দুল মতিন এর মতে নির্লোভ বলা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এর্শাদ এর স্বৈর শাসন বিরোধী আপোষহীন নেত্রী হিসাবে একান্নব্বইর সাধারন নির্ব্বাচনে জয়লাভ করে দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার পূনঃ প্রতিষ্টা করেন যাহা মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ও দর্শন ছিল। গ্রহ্ণে পরিবেষিত তথ্য মতে এর্শাদ সরকারামলে গ্রহ্ণকার সরকারি খরছে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে বিদেশ সফর করেছেন, সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদ সরকারের সাফাই গেয়েছেন। গ্রহ্ণকারের যুব সংহতির নেতা এবং সামরীক স্বৈর শাসকের সর্মথক ছাড়া প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ার কোন যোগ্যতা ছিল না। ইতিহাস স্বাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রালয় গঠন করেন বি,এন,পি, সরকার, সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতি মন্ত্রী ছিলেন রেদোয়ান আহমদ সাহেব। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালু করেন বি,এন,পি সরকার। চার দলীয় জোট সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, শহীদ, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিশ্বস্থ ও ঘনিষ্ট সহচর ভাষা সৈনিক এম, সাইফুর রহমান এর আন্তরিক উদ্যোগ ও বলিষ্ট নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার মর্মে বহুবিধ কার্য্যক্রম পরিচালনা বাস্তবায়ন হয়েছে। একাত্তোরের অকুতভয় বীর বীর শ্রেষ্ট সিপাহী হামিদুর রহমান এর সম্মান ও স্মরনে কমলগঞ্জ উপজেলাধীন স্মৃতি সৌধটি এম, সাইফুর রহমান এর একক প্রচেষ্টার ফল ও ফসল। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এর পূর্বাংশে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সম্বলিত বৃহদাকৃতির শহীদ মিনারটি জোট সরকারের মাননীয় অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, সাইফুর রহমানের একক অবদান। বি,এন,পি-র নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারামলে মুক্তি যোদ্ধাদের জাতীয় প্রতিষ্টান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিল সমূহের স্বতন্ত্র স্বকীয়তা সহ সাংঘটনিক কার্য্যক্রম ছিল, দেশের মুক্তিযোদ্ধা সমাজ নির্বাচিত নেতা হীন অভিবাভক হীন ছিলেন না। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারামলে দলীয় করন ছিল না। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা কমান্ডার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুর রহমান। তিনি কখনও বি,এন,পি,র রাজনীতির সঙ্গেঁ সম্পৃক্ত ছিলেন না। বর্তমানে দীর্ঘ দিন যাবত সংসদের কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্য্যায় পর্যন্ত নির্ব্বাচিত ইউনিট কমান্ড নেই। জেলা প্রশাসক সাহেবানরা পদাধিকার বলে জেলা কমান্ড এর দায়িত্বে আছেন, যা তাঁদের জন্য একটি বাড়তি কাজ। গ্রহ্ণকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামরীক স্বৈর শাসক এর্শাদের দোসর হিসাবে এর্শাদের পতনের পর দেশান্তরি হন। কানাডায় স্থায়ী ভাবে সপরিবারে বসবাস করতে থাকেন। দেশের অবহেলিত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের বিদ্যমান সমস্যার কথা কানাডা প্রবাসী সুলায়মান আলী সাহেবের জানার কথা নয়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এর কৃতি ছাত্র সদর উপজেলাধীন কনকপুর ঐতিহ্যবাহী খাঁন বাড়ির কৃতি সন্তান মুজিব বাহিনীর বীর যোদ্ধা ফজলুর রহমান খান সুনু ভাইর অর্থাভাবে আত্ব হনন শুধুমাত্র তাঁর স্বজন নহেন গোটা মুক্তি যোদ্ধা সমাজের জন্য দূঃখ জনক মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ধারন ও বাস্তবায়নে বেদনা দায়ক অথছ পশ্চিম বাজারস্থ মুক্তি যোদ্ধা ভবনটি সাবেক জেলা কমান্ডার গ্রহ্ণকার মোঃ সুলায়মান আলী মিলেমিশে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নাম মাত্র মাসিক ভাড়া ও নাম মাত্র সালামিতে প্রশাসনও সাধারন মুক্তিযোদ্ধা সমাজকে ডিঙ্গিঁয়ে ভাড়া নিয়ে একাত্তোরের নামে রেষ্টুরেন্ট দিয়েছেন। সরকারি ভাবে নির্ম্মিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি ইতিপূর্বে তৎকালীন জেলা কমান্ডার মোঃ জামাল উদ্দিন মোটা অংকের সালামি এবং মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে একটি হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট কোম্পানীকে ভাড়া দিয়েছিলেন বর্তমানে এখানে একটি শিশু বিদ্যালয়। এই সব অর্থের সংবাদ সাধারন মুক্তিযোদ্ধা সমাজ জানেন না, কিংবা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এই গ্রহ্ণে তার কোন আলোচনা নেই- যা থাকা একান্তই উচিত ছিল। কারন সাধারন মুক্তিযোদ্ধা সমাজ এবং সচেতন জনগন এসবের কিছুই জানেন না। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরের তথ্য মতে ভূয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে অনেক প্রতারক দেশ জাতি ও মুক্তিযোদ্ধা সমাজের সঙ্গেঁ প্রতারনা করে সরকারি উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। ধরা খেয়েছেন। তাদের কোন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় নি। অথছ মাঠের মুক্তিযোদ্ধা হয়েও অনেকেই কতৃপক্ষের খাম খেয়ালি, দায়িত্ব জ্ঞান হীনতার কারনে মুক্তিযুদ্ধের সনদ পত্র পান নি। ষাটের দশকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্র লীগের প্রতিষ্টাকালীন নেতা আজীবন নির্ভীক মুজিব সৈনিক, শ্রীমঙ্গলে পৌরসভার একাধিক মেয়াদের মেয়র জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম,এ, রহিম রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি না পেয়ে মর্ম বেদনা ও অপমানে সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা রনি প্রেন্টিস এখনও মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পান নি। গ্রহ্ণকার সুলায়মান আলীর নিজ ইউনিয়নাধীন বরমান মিরাশদার বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী, আসির কোটায় এসেও আশায় আছেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সার্টিফিকেট এবং রাষ্ট্রের সম্মান ও স্বীকৃতি পাবেন। প্রশিক্ষিত আনছার কমান্ডার অসম্ভব রকমের দূঃসাহসী ও দেশ প্রেমিক এখলাছুর রহমান চার নম্বর সেক্টারে একজন মাঠ পর্য্যায়ে চেনামুখও খ্যাত নামা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধের সময় অসুস্থাবস্থায় ও তিনি রনাঙ্গন ত্যাগ করে হাসপাতালে ভর্ত্তি হন নি, মুক্তাঞ্চল-রনাঙ্গঁনেই তিনি চিকিৎসা বিশ্রাম নিয়েছেন। সুস্থ হয়েই পূনঃ সম্মুখ সমরে যোগদান করেছেন। তিনি ও সার্টিফিকেট বিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুজিব বাহিনীর বীর যোদ্ধা ফজলুর রহমান খান এর আত্ব বলিদান, মোঃ এখলাছুর রহমান রনী প্রেন্টিসদের অসম্মান-অবমূল্যয়নের কথাও কাহিনী মুক্তিযোদ্ধা সুলায়মান আলীর গ্রহ্ণ- “মুক্তি যুদ্ধ আমাদের ঠিকানা” গ্রহ্ণে নেই। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন নির্ব্বাচিত জেলা কমান্ডার না থাকলেও একদা ছিলেন, যখন ছিলেন তখন কি তাদের- গ্রহ্ণকার সুলায়মান আলী সাহেবদের কোন দায় দায়িত্ব ছিল না। দেশে বর্তমানে প্রায় আধাডজন জাসদ-বাসদ এবং জাসদি ঘরানার রাজনৈতিক দল আছে। গ্রহ্ণকার যখন জাসদ-ছাত্রলীগ ছিলেন তখন জাসদ-অভিবক্ত একটি-ই ছিল- তবে গুপ্ত হত্যা- গন বাহিনীর সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ ছিল। বর্তমানে গ্রহ্ণকার কোন জাসদ এর সঙ্গেঁ সম্পর্ক যুক্ত আছেন তা উল্লেখ নেই, নাকি তিনি নব্য আওয়ামী লীগ হাই ব্রীড? প্রসঙ্গঁত বলাদরকার বি,এন,পি, কোন আন্ডার গ্রাউন্ড রাজনীতি জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদ মৌলবাদে বিশ্বাস করে না, সমর্থন করে না। উল্লেখিত গ্রহ্ণ গ্রহ্ণকার এবং সম্পাদক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বি,এ,পি, প্রসঙ্গেঁ সে সব অসত্য উক্তি করেছেন- তথ্য পরিবেশন করেছেন আমি তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। প্রথা মাফিক অসত্য বিভ্রান্ত ও বিদ্বেষ মূলক এই গ্রহ্ণের বহুল প্রচার কামনা না করলেও সৌজন্য মূলক ভাবে গ্রহ্ণকারের সুস্ব্যাস্থ দীর্ঘায়ু এবং পারিবারিক কল্যান কমনা করছি।

মোয়াজ্জম হোসেন মাতুক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি,এন,পি, মৌলভীবাজার জেলা শাখা, সভাপতি, সদর উপজেলা শাখা। প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ, সভাপতি, সচেতন নাগরিক সমাজ, মৌলভীবাজার জেলা কমিটি। একজন গ্রহ্ণ সূহৃদ সচেতন পাঠক।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..