শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ‘কোনো নারী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত মানেই তিনি মন্দ মা, এটি বলা যায় না। এ কারণে তাকে তার সন্তানের দায়িত্ব দিতে অস্বীকারও করা যায় না। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেছেন। ৪ বছরের শিশুকন্যাকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সেই মামলাতেই এমন মন্তব্য করেছেন আদালত। ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়াল বলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সব সময়ই নারীদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। যেকোনো পুরুষতান্ত্রিক সমাজেই যেভাবে মহিলাদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, সেদিক বিচার করলে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। এমনকী, আমরা যদি ধরেও নেই কোনো মহিলা পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তাহলেও তার মানে এটা দাঁড়ায় না যে, তিনি ভালো মা হতে পারবেন না। কিংবা তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না।
ওই নারীর বিষয়ে আদালত জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ও স্থায়ী উপার্জনকারী। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছ থেকেও সাহায্য পান তিনি। তার স্বামী একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি ভারতে বাস করেন। বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়ালের মতে, আদালত যে কোনো দম্পতির ক্ষেত্রেই পুনর্মিলনের পক্ষে সায় দেয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোনো সন্তান শুধু বাবা কিংবা মায়ের কাছে বড় হলে তার বেড়ে ওঠায় কোনো সমস্যা থেকে যায়।
তিনি বলেন, আধুনিক সময়ে দেখা যায়, একক অভিভাবকের কাছে বড় হওয়া সন্তানেরা অনেক সময়ই দায়িত্ববান হিসেবে বেড়ে উঠে নানা ক্ষেত্রে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।