1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় সালিশ সদস্যের নেতৃত্বে আ’লীগ নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৬

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ৯৩ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার আপোস মীমাংসার বৈঠকে সালিশ সদস্যের ওপর আপত্তি দেওয়ার আক্রোশে ওই সালিশ সদস্য সঙ্গবদ্ধভাবে আপত্তিকারীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন। এতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বড়লেখা উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির ও মায়ের কোলে থাকা দুই শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে উপজেলার তালিমপুর গ্রামে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদিরের বাড়িতে এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় আহত অন্যরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদিরের ছেলে মাহী হাসান নিলয়, স্ত্রী মাছুমা আক্তার, পুত্রবধু মনিরা আহমদ মুনা ও দুই বছর বয়সী দুই শিশু সন্তান।

এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মাহি হাসান নিলয় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত সালিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ আট জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

জানা গেছে, তালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন ও আবু বক্করের মধ্যে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলার আপোস মীমাংসার জন্য বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরের বাড়িতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুল কাদির একপক্ষের হয়ে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উশৃঙ্খল আচরণ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে তিনি সালিশ বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ওপর অনাস্থা দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলম অশ্লীল গালিগালাজ করে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আব্দুল কাদিরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালান এবং দরজা জানালা, গ্রীল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেন।

আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির জানান, সালিশ সদস্য সৎ, নিরপেক্ষ ও ক্লিন ইমেজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হওয়ার কথা। জাহাঙ্গীর আলম চিহ্নিত চোরাকারবারী ও মাদক ব্যবসায়ী। চোরাচালানের পণ্যসহ একাধিক বার সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল কেটেছে। তার বিরুদ্ধেথ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট পক্ষ মেনে নিয়েছিল। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম বৈঠকে বসেই প্রকাশ্যে উশৃঙ্খল আচরণ ও পক্ষপাতিত্ব শুরু করেন। আমি একপক্ষের মানিত ব্যক্তি হিসেবে ন্যায় বিচারের স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর আপত্তি জানিয়ে তাকে বিচারে না থাকার দাবী জানাই। এরপরই সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার পরিবারের ৬ ব্যক্তি আহত হই। এসময় জাহাঙ্গীর আলম ও সহযোগিরা মহিলাদের শ্লীলতাহানী ঘটায় ও মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার লুটপাট করেছে।

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে হামলা ও ভাংচুরের কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত মাহী হাসান নিলয় আটজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এব্যাপারে পুলিশ যথযত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..