ম ই মামুন জানান, আজ শুক্রবার ১২টার পর এই ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আজ ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। কেরানীগঞ্জে সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির আরও নেতাকর্মীরা ছিলেন। সভা শেষ করে যাওয়ার সময় পথে আমাদের পার্টি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে আমাদের লোকদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে আমার কাছে। সেখানে দেখা যায় নিপুণ রায় ইটপাটকেল ছুড়ে দৌঁড়ে চলে যাচ্ছেন।’
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ম ই মামুন বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিস ছিল তাদের সমাবেশস্থলের পাশেই। তারা প্রোগ্রাম শেষ করে আমাদের অফিসে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করছিল। তখন আমাদের মধ্যে এক মুরুব্বী তাদের জিজ্ঞাসা করেন যে, তোমরা এমন করছো কেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তিনি সাথে সাথে পড়ে যান। সেসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসের চেয়ার ভাংচুর করতে থাকে।’
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহবুদ্দিন কবীর গণমাধ্যমকে জানান, ‘তেমন কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কোনও প্রকার বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, ‘বিএনপির সমাবেশে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। তাদের কিছু কর্মী বিশৃঙ্খলা করেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, কেরানীগঞ্জে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।