রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোট:প্রায় দু’মাসের ম্যারাথন ক্রিকেটযজ্ঞ শেষের পথে। এরইমধ্যে ১৬তম আইপিএলের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস ও হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্স। রোববার (২৮ মে) দু’দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কারা ঘরে শিরোপা তুলতে পারে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অর্থের দিক থেকেও বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলোর মধ্যে এগিয়ে আইপিএল। টুর্নামেন্টটির চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল কে কত টাকা পাচ্ছে এ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সমর্থকদেরও। এবারের আইপিএলে মোট প্রাইজমানি ৪৬ কোটি ৫০ লাখ রুপি। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২০ কোটি।
২০০৮ প্রথম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ রুপি। রানার্স-আপ দল পেয়েছিল ২ কোটি ৪০ লাখ রুপি। সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতার অর্থমূল্যের পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হয়ে গুজরাট পেয়েছিল ২০ কোটি রুপি। রানার্স-আপ রাজস্থান রয়্যালস পেয়েছিল ১৩ কোটি রুপি। এবারও একই পরিমাণ আর্থিক পুরস্কার থাকছে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ দলের জন্য।
এছাড়া প্লে-অফে ওঠা বাকি দু’দলের জন্যও থাকছে প্রাইজমানি। তৃতীয় স্থানে শেষ করা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পাবে ৭ কোটি রুপি। চতুর্থ লখনৌ সুপার জায়ান্টস পাবে ৬ কোটি ৫০ লাখ রুপি। বাকি দলগুলোর জন্য কোনো আর্থিক পুরস্কার থাকছে না।
দলগত প্রাইজমানির পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্যও কিছু পুরস্কার থাকছে। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কমলা টুপিধারী পাবেন ১৫ লাখ রুপি। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বেগুনি টুপিধারী পাবেন ১৫ লাখ রুপি। ১৬ ইনিংসে ৮৫১ রান নিয়ে আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোরার শুভমান গিল। দুইয়ে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ফাফ ডু প্লেসির ১৪ ইনিংসে সংগ্রহ ৭৩০ রান। ফলে গিল শেষ পর্যন্ত কমলা টুপি ধরে রাখবেন এটা নিশ্চিত। বেগুনী টুপি নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চলবে মোহাম্মদ শামি ও রশিদ খানের মধ্যে। দুজনেই গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ফাইনাল খেলবেন। সমান ১৬ ইনিংসে শামির উইকেট ২৮ আর রশিদের ২৭।
আইপিএলের সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার তথা ইর্মাজিং প্লেয়ারের পুরস্কারের অঙ্কটা আরও বড়। তিনি পাবেন ২০ লাখ রুপি। মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটার পাবেন ১২ লাখ রুপি। আসরের সুপার স্ট্রাইকার অর্থাৎ ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে খেলা ক্রিকেটার পাবেন ১৫ লাখ রুপি।
এছাড়া পাওয়ার প্লেয়ার অব দ্যা সিজন ও গেম চেঞ্জার অব দ্যা সিজন নির্বাচিত হওয়া ক্রিকেটারদের পকেটে যাবে সমান ১২ লাখ রুপি করে।