1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে কম দামে বই বিক্রি করায় পুস্তক ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩
  • ১৩৯ বার পঠিত

মৌলভীবাজার পতিনিধি: নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে গাইড বই (সহায়ক গ্রন্থ) বিক্রি করায় সিন্ডিকেটদের চক্ষুশোল হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার একাধিক পুস্তক ব্যবসায়ী। ওই চক্রের খপ্পরে পড়ে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীরা। আর ন্যায্য মূল্যে সহায়ক বইসহ শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে এ জেলার স্থানীয় পুস্তক বিক্রেতা (লাইব্রেরীয়ান)দের বই ক্রয় ও বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ওই অতি মুনাফালোভী একটি চক্র। ওই সিন্ডিকেটের এমন আচরণে এজেলার একাধিক পুস্তক বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত ও মৌখিক একাধিক অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না। এবিষয়টি জেলার শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানার পর তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্ভে এর প্রতিকার চেয়েছেন। অন্যথায় তারা ওই চক্রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে আন্দোলনে নামবেন বলে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন। তারা বলছেন যে সহায়ক গ্রন্থটি ৬ শ টাকা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা চুড়ান্ত অতিরিক্ত। সর্বসাকুল্যে এর মুল্য ৩শ থেকে ৩৫০ টাকা হলেও তাদের মুনাফা হত। কিন্তু ওখানে ৬ শ টাকা নির্ধারণ করে গলাকাটা ব্যবসা করছেন। এমনকি ওই অতিরিক্ত মুল্যের বিষয়ে প্রকাশনীর কাউকে জিজ্ঞেস করলে তারা ঘুরে ফিরে দায় সরকারকে দিচ্ছেন। অথচ তারা সিন্ডিকে করে ইচ্ছাকৃত দাম বাড়িয়ে ও ওই নির্ধারিত মুল্যে বিক্রিতে লাইব্রেরীয়ানদের বাধ্য করে মুনাফা লুটছেন।জানা যায় জাল অভিযোগ পত্র দিয়ে ব্যøাকমেইল করে জেলা শহরের একটি স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ইসলামিয়া লাইব্রেরী)সহ জেলার একাধিক পুস্তক বিক্রেতাকে হেনেস্তা করা হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি ও প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে প্রহর গুনছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ বা আইনি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে না। জানা যায় নির্ধারিত মুল্যের ছয়শত টাকার গাইড বই বিশ টাকা কমে বিক্রি করার অভিযোগ এনে কোন প্রকার প্রমাণ বা শুনানী ছাড়াই বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রিতা সমিতির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় গুটিকয়েক ব্যক্তি মৌলভীবাজার শহরের সুনামধন্য পুস্তক বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া
লাইব্রেরিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করে। জরিমানার বিষয়টি জাতীয় ও
স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রচারিত হলে জেলা প্রশাসকের নামে জাল অভিযোগ পত্র দিয়ে ৩০ জানুয়ারী বø্যাকমেইল করে কোন অভিযোগ ছাড়াই আবারও একই কায়দায় ফেব্রæয়ারী মাসেও আর দুই হাজার টাকা জরিমানা করে।অবৈধ পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার পরও পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি থেকে বই সরবরাহ পাচ্ছে না ওই প্রতিষ্ঠানসহ জেলা ও উপজেলার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বরং তাদের প্রতিবন্ধকতায় বই সরবরাহ বন্ধ হওয়াতে ব্যবসা চালু রাখা নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) কেন্দ্রীয় সভাপতির বরাবরে জালিয়াতি তদন্ত করার আবেদন করেও কোন প্রতিকার মেলেনি বরং ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মৌলভীবাজার শহরের ইসলামিয়া লাইব্রেরির সত্বাধিকারী যোবের আহমদ সালেহ। এছাড়াও জেলার ৩০-৩৫জন পুস্তক ব্যবসায়ীকে একই কায়দায় ওই চক্রটি একাধিকবার ২-৩ হাজার টাকা তাদের মনগড়া জরিমানা করে। ব্যবসায়ীরা ওই চক্রটির নানা
হয়রানীতে তাদের ব্যবসা চালু রাখা নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।এবিষয়ে অভিভাবক,বাপার মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক,রাজনৈতিক ও
সমাজকর্মী আ স ম ছালেহ সুহেল ও সম্মিলিত সামজিক উন্নয়ন পরিষদ মৌলভীবাজার এর সহসভাপতি সমাজকর্মী এম মুহিবুর রহমান
মুহিব বলেন এটা খুবই দু:খজনক কম দামে বিক্রি করাতে জরিমানা করে বই বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সবকিছুতেই কেনো এমন
সিন্ডিকেট প্রথা। এবিষয়ে প্রশাসন দ্রæত প্রদক্ষে না নিলে আমরা শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে আন্দোলনে নামব।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান বলেন এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোর আন্দোলন করছি। আর এখানে দাম কমানোতে সিন্ডিকেটরা ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে।জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো: বেলাল হোসাইন বলেন শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্ঠা করছে।আর অতি মুনাফালোভী একটি কুচক্রীমহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তারা নিজেদের আখের গোচাতে তৎপর। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মো: আবদাল হোসাইন বলেন এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কমদামে বিক্রি করায় জরিমানা করে এখন ওদের ব্যবসা বন্ধ করার পায়তারা। গরীব শিক্ষার্থীরা কিভাবে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করবে তা কি ওরা ভাবেনা। দ্রæত সমাধান না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)সিলেট বিভাগের পরিচালক মো: খলিলুর রহমান বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা অত্যন্ত দু:খজনক। আমরা
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিচ্ছি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..