ডেস্ক রিপোট:ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্র অথবা পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেনি’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ সংগৃহীত বিএনপি আন্দোলনের নামে নেতাকর্মীদের দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে উগ্রবাদী অপশক্তির সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।”

বৃহস্পতিবার (১ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের “অর্বাচীন বক্তব্যের” নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির এসব সন্ত্রাসীবাহিনী জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে, অথচ এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিলেই গণমাধ্যমের সামনে তারা ‘বিরোধী দল দমন’-এর বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে।”

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে- এটাই সর্বজনীন নীতি।”বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর “খালি মাঠে গোল দেওয়ার” কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দেয়নি এবং কাউকে খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগও দেয়নি। আমরা সর্বদা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্র অথবা পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেনি।”বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিএনপি মহাসচিব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে বিচারিক প্রক্রিয়াকে চিরাচরিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। বিএনপি একদিকে তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দেয় অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিরোধীদল দমনের তথাকথিত অভিযোগ তোলে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস নয় বরং শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রকাঠামো শক্তিশালী এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে যদি প্রশ্ন করি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে বিএনপি কী কখনও কোনো ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল?”