1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিলেট বিভাগের ৪জেলার সাহিত্যকর্মীদের অংশ গ্রহনে দুই দিনের সাহিত্য মেলা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ২৫৯ বার পঠিত

সিলেট সংবাদদাতা:: অনেকের কপালে চোখ উঠে যাওয়ার মতো উপস্থিতি। আজ শনিবার সকাল ১০টার আগেই কবি নজরুল অডিটোরিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে ছুটে এসেছেন সাহিত্যকর্মীরা। উপলক্ষ বিভাগীয় সাহিত্যমেলা। নামটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া। উদ্দেশ্য তৃণমূলের লেখকদের সম্মিলন। সম্মেলনের প্রচলিত ধরাবাঁধা নিয়ম নয়। খোলামেলা একের সঙ্গে অপরের চিন্তা-ভাবনার আদান-প্রদান, যাতে বাংলা সাহিত্যের বিকাশ জাতীয় উন্নয়নকে আরও গতিশীল করে। উন্নত-সমৃদ্ধ অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাহিত্যিকরাও গর্বিত অংশীদার হোন।
প্রথমেই ছিল বর্ণিল উদ্বোধনী পর্ব। পরিবেশিত হলো জাতীয় সংগীত। প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সহ অন্যরা মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করলেন এক ঝাঁক রঙিন বেলুন। এরপর নানা বয়সের নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনা মুগ্ধতা ছড়ালো।
সিলেট বিভাগীয় সাহিত্য মেলার উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমান ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিক সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, সাহিত্য মেলা দেশের সাহিত্যসেবী-সাহিত্যকর্মীদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করবে।
তিনি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও দুর্ব্বীন শাহকে রাজনৈতিক বাউল আখ্যায়িত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দুই কৃতি সাধকের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মযজ্ঞে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী ভাষাসংগ্রামী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের গভীর আন্তরিকতা ও পৃষ্ঠপোষকতার উল্লেখ করেন। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ জানান, এবার চারটি বিভাগে বিভাগীয় সাহিত্য মেলা হচ্ছে। আগামী বছর অন্যান্য বিভাগে হবে। তিনি কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন।
প্রধান বক্তা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাহিত্য মেলা ‘সাহিত্য ঢাকা কেন্দ্রীক’ ধারণাকে ভেঙ্গে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাহিত্যচর্চাকে উৎসাহিত করতে ও প্রেরণা যোগাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালিত হতে থাকায় বিশ্বের অনেক বিলুপ্তপ্রায় ভাষা ফিরে আসছে। বাংলা ভাষা বৈশ্বিক ভাষা হতে খুব বেশি দেরি নেই বলেও কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অতিথি ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান সাহিত্য-সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহবান জানান।
অতিথি জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান বলেন, সাহিত্যের বহমান ধারাকে আরও গতিশীল করতে তৃণমূল পর্যায়ে সাহিত্য মেলা অবদান রাখবে।
স্বাগত বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ সফল এ আয়োজনে সবার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সিলেট বিভাগের মরমী সাধকদের সৃষ্টি নিয়ে বিভাগীয় সম্মেলন আয়োজন ও নাগরী ভাষা চর্চা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রস্তাব রাখেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..