শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোট:সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট নগরের আম্বরখানা থেকে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে ৩০ নির্মাণশ্রমিক ঢালাই কাজের জন্য যাচ্ছিলেন। পথে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে দুর্ঘটনায় পড়েন তারা।
এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। আহতদের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি শামসুদ্দোহা জানান, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণশ্রমিক ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। তারা সেখানে ঢালাই কাজের জন্য যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ১১ জন ঘটনাস্থলে ও ৩জন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার আলীনগরের শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৫৫), নেত্রকোণার বারহাট্টা এলাকার মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ হোসেন (৪০), সুনামগঞ্জের দিরাই ভাটিপাড়ার সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. সৈয়ব আলী (২৭), একই এলাকার বাদশা মিয়া (২৫), দিরাই মধুপুর গ্রামের সুনাই মিয়ার ছেলে সাধু মিয়া (৪০), দিরাই ভাটিপাড়ার মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাবনগাওয়ের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহীন মিয়া (৪০), একই উপজেলার মুরাদপুরের হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬), সুনামগঞ্জ দিরাই ভাটিপাড়ার মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নুর (৬০), শান্তিগঞ্জ তলের বনত গ্রামের মৃত আমান উল্লাহ তালুকদারের ছেলে আওলাদ হোসেন তালুকদার (৫০), সুনামগঞ্জের দিরাই পাতাইয়া কাইম গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে একলিম মিয়া (৫০), একই উপজেলার গছিয়া গ্রামের বারিক উল্লাহর ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫) ও সিলেট নগরের ৬নং ওয়ার্ডের বাদামবাগিচা ১নং সড়কের ৫৯ নং বাসার আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৩)।