1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ১৪৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ফিলিস্তিনের তিন বছর বয়সী শিশুটি মারা গেছে। আহত হওয়ার চার দিন পর মোহাম্মেদ তামিমি নামে শিশুটির মৃত্যু হয়। চলতি বছর সহিংসতায় নিহত হওয়া ফিলিস্তিনের সবচেয়ে কম বয়সী শিশু তামিমি।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবি সালেহ এলাকায় নিজেদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তামিমি ও তার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, ওই এলাকার খুব নিকটবর্তী ইহুদি বসতিতে দুই বন্দুকধারীকে তাড়া করার সময় গুলি চালায় সেনারা।

ওই ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ‘বেসামরিক নাগরিকদের’ ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বিলাল তামিমিও ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন।

তিনি বলেছেন যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাবি সালেহের প্রবেশদ্বারে একটি গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানোর অপেক্ষায় ছিল এবং গাড়িটি কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা গুলি চালায়।

মোহাম্মেদ তামিমি নামের ওই শিশুটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করা হয়।

গুলিবিদ্ধ হবার পরপরই ইসরায়েলি সেনারা তাকে হেলিকপ্টারে করে সাফরা চিল্ড্রেনস হসপিটালে নিয়ে যান। কিন্তু মাথায় আঘাত পাওয়া শিশুটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন চিকিৎসকেরা।

শিশুটির বাবা হাইথাম তামিমি ফিলিস্তিনের হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলের মৃত্যুর আগে তিনি ইসরায়েলে গিয়ে তাকে দেখে আসতে পেরেছেন।

নাবি সালেহর বাইরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট রয়েছে।

একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, যেখানে দুই ব্যক্তিকে গুলি করতে দেখা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে হালামিশ বসতি যা নেভেহ তজুফ নামেও পরিচিত-সেখানে গোলাগুলির ঘটনাটি কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।

এদিকে সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৈন্যরা পাল্টা গুলি চালায়, যার ফলে দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়।

‘(ইসরায়েলের সেনাবাহিনী) এ রকম ক্ষতির জন্য অনুতপ্ত এবং এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে,’ এক বিবৃতিতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

হালামিশের বসতি স্থাপনা করা হয়েছিল ১৯৭০ সালের দিকে এবং এর নিকটবর্তী ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল।

বেশ কয়েক বছর ধরে, শুক্রবারের বিক্ষোভগুলো হচ্ছিল নাবি সালেহতে। গ্রামের জমি বাজেয়াপ্ত করা এবং দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আর এরকম প্রতিবাদ প্রায়শই ইসরায়েলি সৈন্যদের সাথে সহিংস সংঘাতে গড়ায়, অনেক সময় সেনারা বিক্ষোভকারীদের আটকাতে টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা প্রায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক মানুষও রয়েছেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..