ডেস্ক রিপোর্ট : কানাডায় ব্যাপক দাবানলের প্রভাব পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম নগরী নিউইয়র্কে। ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আকাশ ছোঁয়া ভবনগুলো। হ্রাস পেয়েছে দৃশ্যমানতা। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীতে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে শহরটির আবহাওয়ার মান ছিল সর্বনিম্ন।

আইকিউ এয়ার ডাটা অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে লাইভ একিউআই র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৪২ পয়েন্ট নিয়ে নিউইয়র্কের অবস্থান সবার ওপরে। এরপর ১৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দুবাই। একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ৭ নম্বরে।

আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে নিউ ইয়র্কের বাতাসকে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাতাসের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দাদের জন্য সতর্কতা জারি করে নিউইয়র্ক। ঝুঁকি কমাতে বাসিন্দাদের ঘরের বাইরের কর্মকাণ্ড সীমিত করার কথা বিবেচনায় নিতেও পরামর্শ দিয়েছে নগর কর্র্তৃপক্ষ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার নিউইয়র্ক সিটি এলাকায় এবং ফিলাডেলফিয়ায় কিছু ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছিল। কানাডা থেকে দাবানলের ধোঁয়া থেকে দৃশ্যমানতা হ্রাসের কারণে অন্যগুলো অনেক ফ্লাইট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ট্র্যাফিকের গতি কমিয়ে দিয়েছিল। এফএএ বলেছে যে এটি দাবানলের ধোঁয়া থেকে দৃশ্যমানতা হ্রাসের কারণে ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য পূর্ব উপকূল এবং মিডওয়েস্ট থেকে ট্রাফিক ধীরগতি শুরু করেছে।

কানাডিয়ান ইন্টার এজেন্সি ফরেস্ট ফায়ার সেন্টারের তথ্যমতে, এ সপ্তাহে কুইবেকে ১৫০টিরও বেশি সক্রিয় দাবানল চলছে, যা দেশটির অন্য প্রদেশগুলোতে চলা দাবানলের সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত কুইবেকে চার শতাধিক দাবানল রেকর্ড করা হয়েছে, যা বছরের এই সময়ের গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ।

কানাডায় এ বছর দাবানলে প্রায় ৯০ লাখ একর বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধোঁয়ায় টরন্টো ও এর আশপাশের এলাকাসহ অন্টারিও এবং কুইবেকের প্রধান শহরগুলোকেও ঢেকে দিয়েছে। বিপজ্জনক করে তুলেছে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রেরও একাধিক শহরকে।