সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
তানভীর চৌধুরী :: এশিয়ার অন্যতম রেইন ফরেস্ট মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বন্য প্রাণীর এই আবাস্থলে প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দুই হাজার পর্যটক প্রবেশ করে। বনাঞ্চলটির জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। অবাধে উজাড় করা হচ্ছে গাছপালা। এসব কারণে প্রাণীদের খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে প্রাণীরা।
গত এক বছর তিন মাসে লাউয়াছড়ার আশপাশের এলাকা থেকে শতাধিক বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বন এলাকার রেল ও সড়ক পথেও মারা গেছে প্রায় ৫০টি প্রাণী। এ ছাড়া এসব পথে প্রতিনিয়তই বন্য প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবি, বন বিভাগের বন্য প্রাণী উদ্ধারের যে তালিকা রয়েছে, এর চেয়ে বেশি বন্য প্রাণী লোকজনের হাতে প্রতিবছর মারা পড়ছে। গোপনে ফাঁদ পেতে অনেকে কিছু প্রাণীও শিকার করছে।
বন্য প্রাণীপ্রেমী খোকন যৌনজাম বলেন, বনাঞ্চল দখল হয়ে যাওয়ায় বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। বন উজাড়ের ফলে ধীরে ধীরে গাছপালা কমতে শুরু করেছে। পরিবেশ- প্রতিবেশের প্রভাব, অবাসস্থল, খাদ্য ও পানির সংকট ইত্যাদি কারণে বন্য প্রাণীরা বন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে এসে ধরা পড়ছে মানুষের হাতে। এর মধ্যে কিছু প্রাণী মানুষের আঘাতে মারা যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা নুরুল মোহাইমিন মিল্টন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে বন্য প্রাণী বাঁচাতে হবে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার বলেন, বন্য প্রাণী রক্ষায় মৌলভীবাজার জেলার সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বনে প্রাণীর খাদ্যসংকট দূর করতে ফলদ বৃক্ষ রোপণকাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে বনগুলোতে বিপুলসংখ্যক ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। প্রাণীদের পানীয়জলের সমস্যা সমাধানেও কাজ করা হচ্ছে।