শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন পর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দৃষ্টিনন্দন একটি শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কুলাউড়া শহরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে দৃষ্টিনন্দন এ শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ আগামী সপ্তাহে শুরু করা হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরের আধুনিক ডাকবাংলোর প্রবেশ মুখে প্রাচীনতম একটি শহীদ মিনার রয়েছে। শহীদ মিনারটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। শহীদ মিনারটি নির্মিত হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটিও এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শুধু ভাষার মাসে সংস্কার করে ২১ ফেব্রæয়ারিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে বৃহৎ আকারে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি উপেক্ষিত ছিল। অবশেষে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় সেই উপেক্ষিত দাবি এখন আলোর মুখ দেখেছে। শহীদ মিনারের কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে মৌলভীবাজারের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে ১২ জুন দুপুরে শহীদ মিনারের জায়গাটি পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য শিরীন আক্তার চৌধুরী মুন্নী, বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিপন কুমার দাস, সাঁটলিপিকার মলয় দেবনাথ, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল প্রমুখ।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কুলাউড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য মিত্র সুমন জানান, কুলাউড়ার আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হলো শহীদ মিনার। কুলাউড়ার সকল সংস্কৃতি প্রেমীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল একটি দৃষ্টিনন্দন ও বৃহৎ শহীদ মিনার নির্মাণের। অবশেষে সেই দাবিটি পূরণ করায় জেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংস্কৃতিকর্মীদের পক্ষ থেকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. মছব্বির আলী বলেন, আমাদের সবার মনে রাখা উচিত যে একটি শহীদ মিনার শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতীক। কুলাউড়ার বর্তমান শহীদ মিনারটির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর ও জরাজীর্ণ। কুলাউড়াবাসীর দাবিরপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে নতুন শহীদ মিনার হচ্ছে দেখে আমরা খুবই অভিভূত ও আনন্দিত হয়েছি।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমান জানান, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার আহবান করে ঠিকাদার নিয়োগ, ড্রয়িং ও ডিজাইনের কাজ শেষ করা হয়েছে। শহীদ মিনারের জায়গাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। শহরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দক্ষিণপাশের্^র জায়গায় জেলার মধ্যে অন্যতম অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে শহীদ মিনারের কাজ শুরু করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।