শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। সাদা পোশাকে যেভাবে খেলতে হয়, ব্যাট হাতে তেমনটাই দেখিয়ে চলেছেন এই বাংলাদেশি ওপেনার। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দেড়শ পেরোনো জুটি গড়ার পথে জয় টেস্টে তৃতীয় ফিফটি পেয়েছেন। তবে শান্তর সেঞ্চুরি নাকি জয়ের ফিফটি, কোনটি আগে হবে সেটাই দেখার ছিল। সেই লড়াইয়ে পরপর বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় বলের আঘাতে হাতে ব্যথা পেয়েছেন শান্ত। তবে এরপরই শান্ত নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।
এর আগে ১০২ বলে ফিফটি পেয়েছেন জয়। শান্ত যেখানে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছেন, সেখানে জয় তার সম্পূর্ণ বিপরীত। ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে তিনি ৭টি চার হাঁকিয়েছেন। ব্যাট হাতে বোলারদের ওপর বেশ নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাটার।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শান্ত ওয়ানডে মেজাজে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও ছিলেন। তবে ৯৮ রানের পর বাকি দুই রান পেতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে এই বাঁ-হাতি ব্যাটারকে। মাঝে তার বিরুদ্ধে একটি ক্যাচ আউটেরও আবেদন করেন স্পিনার জহির খান। আম্পায়ার সেই আবেদন নাকচ করে দেন। শেষমেষ ১১৮ বলে ১৮টি চারের সাহায্যে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছেন ওয়ানডাউনে নামা এই ব্যাটার।
সেঞ্চুরি করেই নিজের ট্রেডমার্ক উদযাপন করেছেন শান্ত। দৌড়ে গিয়ে ব্যাট-হেলমেট হাতে নিয়ে শূন্যে লাফ। এই সেঞ্চুরিটি শান্তর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির মতো। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে খেলেছিলেন ১১৮ বলে ১১৭ রানের ইনিংস। এর আগে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পাল্লেকেলেতে ১৬৩ রানের সেই ইনিংসে শান্ত মেরেছিলেন ১৭টি চার, স্ট্রাইক রেট ছিল ৪৩.১২। সেটাই তার সাদা পোশাকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
তবে এদিন অদ্ভুত ঘটনার দেখা মিলল মিরপুর টেস্টে। আফগানিস্তানের ফিল্ডারদের এলোমেলো কাণ্ডে দৌড়েই ৫ রান নিলেন জয় ও শান্ত। জহির খানের করা ৩৫তম ওভারের শেষ বলটি ডিপ পয়েন্টে খেলে ২ রান নেন জয়। সেখান থেকে পয়েন্টের ফিল্ডারের অনিয়ন্ত্রিত থ্রো ধরতে পারেননি উইকেটরক্ষক আফসার জাজাই। ফলে বল চলে যায় মিড অনের দিকে। এই সুযোগে আরও তিন রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে জয় পেয়ে যান অর্ধশতকের দেখা।