শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপের্ট :: বলিউডে নব্বইয়ের দশকে যারা জনপ্রিয় ছিলেন তাদের মধ্যে প্রায়ই তুলনা দেয়া হয়। সে ধারায় কখনো মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে মনীষা কৈরালাকেও তুলনা করা হয়েছে। মূলত দুজনের ক্যারিয়ার একই সময়ে চলার কারণে এ তুলনা আসে। তবে আরেকটি কারণ মাধুরী ও মনীষা ২০০১ সালের ‘লজ্জা’ চলচ্চিত্রে একসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়। রাজকুমার সন্তোষীর এ সিনেমায় তারা একটি গানে একসঙ্গে নেচেছিলেন। এ কারণেই তুলনাটি এসেছিল। মজার ব্যাপার ভারতে নয়, পাকিস্তানের এক টিভি শোয়ে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন মনীষা।
বেগম নওয়াজিশ আলির অনুষ্ঠানে মনীষাকে তিনি বলেছিলেন, সিনেমার গানটিতে নাচের সিকোয়েন্সে মনীষাকে মাধুরীর চেয়ে ভালো লাগছিল। সে কথার পিঠে মনীষা বলেন, ‘আমার তেমন মনে হয় না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, তিনি একজন চমৎকার নৃত্যশিল্পী। আমার চেয়ে অনেক ভালো নৃত্যশিল্পী আর আমি খুব নার্ভাস ছিলাম গানটিতে।’ এমনকি মনীষা ভেবেছিলেন, মাধুরীর সঙ্গে তিনি তাল রাখতেও পারবেন না। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তার অনেক পারফরম্যান্স দেখেছি। আমি রাজকুমার সন্তোষীকে জিজ্ঞাসা করেছি, কেন তিনি আমাকে মাধুরীর সঙ্গে এ সিকোয়েন্সে নিচ্ছেন। আমাকে তো তার পাশে বোকার মতো লাগবে। কিন্তু তিনি আমাকে শুধু অনুশীলন করতে বলেছিলেন। আমি সেটাই করেছি। মনে হয়, সে কারণেই কাজটা ভালো হয়েছিল।’
মনীষা মনে করেন, তার কয়েকটি পারফরম্যান্স উপযুক্ত স্বীকৃতি পায়নি। বিশেষত ‘দিল সে’ ও ‘খামোশি’ সিনেমার জন্য কোনো বড় পুরস্কার না পাওয়ার বিষয়ে হতাশার কথাও বলেন। তবে এখন মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন,”‘বহুদিনের অভিজ্ঞতায় আমি এটা শিখেছি, সবকিছু আমার মতো করে হবে না। পেয়ে গেলেও পা মাটিতেই থাকা উচিত। কিন্তু না পেতে পেতে অনেক সময়ই দূরে চলে যাই। হয়তো এটাই আমার ভাগ্য।’
তার ভাগ্য মাধুরীর সঙ্গে কিছুটা হলেও জুড়ে আছে। ২০১৪ সালে এক সাক্ষাৎকারে মনসুর খান বলেছিলেন, তার আকেলে হাম আকেলে তুম সিনেমার জন্য প্রথম পছন্দ ছিল মাধুরী। নানা কারণে মাধুরী সিনেমাটি করতে পারেননি বলে সেখানে মনীষাকে কাস্ট করা হয়।