রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট:আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পর্যটকবাহী একটি ডুবোযান নিখোঁজ হয়েছে। সোমবারের (১৯ জুন) এই ঘটনার পর ওই ডুবোযানের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
বোস্টন কোস্টগার্ডের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডুবোযানটির খোঁজে অভিযান চলছে। তবে নিখোঁজ হওয়ার সময় ডুবোযানটিতে কতজন পর্যটক ছিলেন, তা স্পষ্ট করেনি ওশানগেট অ্যাক্সপেডিশন নামের প্রতিষ্ঠানটি। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য প্রায়ই অর্থের বিনিময়ে কিছু ছোট ছোট ডুবোযান পর্যটক ও বিশেষজ্ঞদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যায়।
ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। টাইটানিক দর্শনের এক অভিযান— সমুদ্র তলে অবতরণ এবং আরোহণে প্রায় আট ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। ওশানগেট প্রতিষ্ঠানটি আট দিনের এই ভ্রমণে ফি নেয় দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার।
বিশ্বের বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিকের তলদেশে তিন হাজার ৮০০ মিটার (সাড়ে ১২ হাজার ফুট) গভীরে নিমজ্জিত হয়। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়।
১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।
১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান।