বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: সকল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন ও হেল্থ কার্ড নিশ্চিত করা,আবাসন সংকট নিরসন,শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে বৃত্তি প্রদান করা,স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২৫%বরাদ্দের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সোমবার (৭ জুন) দুপুরে উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সভাপতি পিনাক দেব ও সাধারণ সম্পাদক সুমন কান্তি দাস, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সজীব চন্দ্র, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সংসদের সাবেক সভাপতি সিমান্ত পাল, সভাপতি প্রশান্ত কৈরি, সাধারণ সম্পাদক রনি সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিহান আহমেদ, সহসাধারণ সম্পাদক মিলি রায়,কোষাধ্যক্ষ স্বাধীন দেব, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আবির চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী রূপা রায়, দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তনুশ্রী দেব, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অর্পিতা রায়, রানু আক্তার ও সীমা আক্তার প্রমূখ। এছাড়াও মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জলি পাল।
বক্তারা বলেন, মাথাপিছু আয় বাড়লেও দেশে করোনার প্রকোপে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, নতুন কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি, দেশে দারিদ্র ও বৈষম্যের হার বেড়ে চলছে।দীর্ঘকাল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশটিকে মহামারি শেষে আবার শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরত আনা সহজসাধ্য হবে না। অনেক শিক্ষার্থীদের বাল্য বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। শিশু শ্রম বেড়ে যাচ্ছে। ঝড়ে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী।এছাড়াও তারা জানান, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, খাদ্য-কর্মসংস্থান এবং কৃষি ও গ্রামীণ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে; গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে; শিক্ষাখাতে ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় আয়ের ৮ ভাগ অথবা জাতীয় বাজেটের ২৫% বরাদ্দ দিতে হবে, উন্নয়ন বাজেটে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে; মাঝারি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক শিল্পোদ্যোক্তাদের পরিকল্পিতভাবে প্রণোদনা দিতে হবে; বেকারদের কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার এবং আত্মকর্মসংস্থানে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; নিম্নআয়ের আড়াই কোটি পরিবারের জন্য আগামী ছয় মাস প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদানে বরাদ্দ থাকতে হবে।
বক্তারা সকল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন ও হেল্থ কার্ড নিশ্চিত করা, আবাসন সংকট নিরসন, শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করতে বৃত্তি প্রদান করা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অচিরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।