সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের আবেদনে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর মধ্যে দিয়ে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে দেশটির নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে গেল। সেই সঙ্গে দেশটির ফেডারেল কেবিনেটের কার্যকারিতাও শেষ হয়ে গেছে। খবর জিও নিউজ টিভি।
বুধবার প্রেসিডেন্টের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, বুধবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠাবেন তিনি।
মঙ্গলবার ইসলামাদের এক অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরীফ বলেন, আমাদের জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবো। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেবে বলে জানান তিনি।
আগামী ১২ আগস্ট শেষ হচ্ছে বর্তমান সংসদের মেয়াদ। এর ৬০ দিন পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদি সংসদ মেয়াদ পূরণের আগেই বিলুপ্ত করা হয় তবে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।
তবে গত সপ্তাহে কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্টের এক বৈঠকে ২০২৩ সালের আদমশুমারির অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে জাতীয় নির্বাচন। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচন নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে সামনের বছর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে আহ্বান জানাবেন যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে একটি সংলাপের আয়োজন করা হয়।
যদি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতারা যদি কোনও নাম ঠিক করতে ব্যর্থ হন তবে পার্লামেন্টারি কমিটি এই দায়িত্ব নেবে। তারাও যদি ব্যর্থ হয়, তবে সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশন।