রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টার: ঘটক মো:এলাইছ মিয়া (যার ছদ্ম নাম কবির মিয়া)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাগ ইউনিয়নের জামারগাও (রাধাপুর) গ্রামের জবর উদ্দিনের পুত্র । সে জানায়, তার কাছে একটি অ্যামেরিকার কইন্যা আছে। বানিয়াচঙ্গ উপজেলার পুরান পাতারিয়া গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঘটক এলাইছ প্রবাসী হাফিজুরকে কইন্যার মা শেখ রেহেনা বেগমের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় করিয় দেয়। রেহেনা বেগম ফোনে জানায়,আমেরিকার কইন্যার নাম তানজিলা । বাবা শাহ আব্দুল ওয়াহিদ,বাসা (পারিজাত), ৪০শমসের নগর রোড, মৌলভীবাজার শহরে এই বলে পরিচয় দেয়। অভিযোগে প্রকাশ, নাম ঠিকানা সবই ভূয়া। মোবাইলে প্রবাসী পাত্রের সাথে ঘটকের মাধ্যমে কইন্যার মা ও আমেরিকা প্রবাসী বাবার যার মোবা নং +1(660)398-9050 এবং মায়ের মোবা: নং +8801772-834831এর মাধ্যমে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় নগদ ১৬ লক্ষ টাকা ৩ কিস্তিতে কন্যার মাকে পরিশোধ করবে। আখত ( বিয়ে) বাবত আরো আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হবে। কইন্যার মা বাবার দাবীকৃত ছেলের মা ও আত্মীয় স্বজন কইন্যা দেখতে মৌলভীবাজার শহরের শসসের নগর রোডের বাসায় আসেন । এ সময় কনের মামা বলে সাজ্জাত মিয়া, ইউছুফ ও আরো দুজনকে পরিচয় করে দেন মা রেহেনা বেগম। সোনার হরিণ আমেরিকার কইন্যা ছেলের পক্ষের পছন্দ হয়। গত ২৭ জুলাই ফোনের মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তারিখ নির্ধারিত হয়। ২৬ জুলাই বিয়ের বাজারের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা ছেলের ফোঁপাত ভাই তাহির মিয়া আরো দুজনকে সাথে নিয়ে কনের মামা সাজ্জাত মিয়া ও ঘটক এলাইছের মাধ্যমে মা রেহেনা বেগমের কাছে পরিশোধ করে। প্রতারক চক্র টাকার পাবার পর নতুন ফন্দি আঁটে। ২৬ জুলাই রাতে ঘটক এলাইছ বরের ধর্মীয় মামা হবিগঞ্জ শহরে বসবাসরত আলহাজ্ব হাফেজ শাহ আতাহার আলীকে ফোনে জানায়,আড়াই লাখ টাকায় কেনাকাটায় কিছুই হয়নি। আরো ১লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাটানোর জন্য। পরদিন ২৭জুলাই সকালে আমেরিকার কইন্যার মা শেখ রেহেনা ঘটক এলাইছ যাহা বলেন, তাহা একই কথা জানান। হাফিজের মামা শাহ আতাহারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়।তিনি জানান,আক্ ত সম্পন্নের জন্য যেহেতু যাওয়া হবে তাই ওই ১ লক্ষ টাকাও নগদ পরিশোধ করা হবে।বর হাফিজুর রহমানের ধর্মীয় মামা হাফেজ আতাহার আলীর নেতৃত্বে মুরব্বিয়ানগণ মৌলভীবাজারের শহরের ওই (পারিজাত) বাসায় মিষ্টি সহকারে হাজির হন।দেখতে পান বিয়ের কোন আলামত নেই। চলে আসেন মেয়ের কথিত মামা ইউছুফ মিয়া। তিনি জানান, সে হল এ বাসার কেয়ারটেকার। বাসার মালিক শাহ আব্দুল ওয়াহিদ থাকেন লন্ডনে। ওই মহিলা ভুয়া শেখ রেহেনা তার কিছু হয়নি। তাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছে। মৌলভীবাজার শহর তলীর বর্ষিজোড়া গ্রামের জাকাত উল্লার ছেলে সাজ্জাত মিয়া ৩ ঘন্টার জন্য তার কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়েছিল। ফোনে ঘটক এলাইছ ও কইন্যার মা রেহেনাকে ফোনে হফেজ আতাহার জানান, তারা টাকা নিয়ে এসেছেন। কিন্তু সুচতুর প্রতারকরা সবাইর ফোন বন্ধ করে নেয়। সাজ্জাত মিয়াকে ফোন দিলে তিনি জানান, রোগী দেখতে সিলেটে আছেন। সাজ্জাতের কথার সন্দেহ হলে তার বাড়িতে চলে যান হাফেজ আতাহার ও অন্যান্য মুরব্বিগণ। তার বাড়িতে গিয়ে সাজ্জাতকে বাড়িতে পাওয়া যায়। সে জানায়, মেয়ের পক্ষের আত্মীয়দের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তাই বিয়ে হবেনা। তারা সমুদয় টাকা ফিরিয়ে দিবে বলে জানান।
বিষয়টি ঘটক এলাইছের গ্রামের মুরব্বি আব্দুল বাছিত জিতু মিয়া,সাবেক মেম্বার আব্দুল বারিক, চাচাতো ভাই ফরিদ মিয়া, তার সহোদর ফরহাদ ও জরিপ মিয়াকে জানানো হয়। তারা জানান,ঘটক এলাইছ অতীতেও আরো ঘটনা করেছে, সেহেতু তাটা আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।উল্লেখ্য যে,ঘটক এলাইছের নিজ উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামের জনৈক মুজিবুর রহমানকে লন্ডনী ছেলের কথাবলে ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে মুরব্বিগণ জানান। মুজিবুর রহমান গ্রামের মুরব্বিদের সরনাপন্ন হয়েও লাভ হয়নি।
আলহাজ্ব হাফেজ আতাহার আলী জানান,এ ব্যাপারে টাকার মালিক প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মামাতো ভাই মো: তাহির মিয়া মৌলভীবাজার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হারুনুর রশীদ চৌধুরীর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন থানার চৌকস অফিসার এস আই আবুল কালাম চৌধুরীকে।