রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জখম করার পর নির্যাতিতদের উপর উল্টো মিথ্যা মামলা, হুমকি ও নানা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করছেন শরীফপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের নিযাতিত আলফাজ মিয়াসহ অন্যান্যরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ মে দিবাগত রাত ১০ টায় আমার চাচাতো ভাই শিক্ষানবীশ আইনজীবি মো. আবুল হোসেনসহ আমরা স্থানীয় খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রæতার জেরে একই এলাকার হাবিবুর রহমান শিপুসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমার চাচাতো ভাই আবুল হোসেনের শরীরে জখমসহ মাথায় কুপিয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় আলফাজ মিয়া বাদি হয়ে চাঁনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান শিপু (২৫), রহিমা বেগম (৫০), খিদিরপুর গ্রামের সজিব মিয়া (৩৫), ইমতিয়াজ আলম সিহাম (১৯), আল আমীন আহমেদ (২২), লালারচক গ্রামের আমির হামজা (২৫), সঞ্জবপুর গ্রামের বেলাল আহমেদ (২০) এর বিরুদ্ধে গত ১৭ মে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলার আসামী ইমতিয়াজ আলম সিহাম, আল আমীন, আমির হামজা, বেলাল আহমেদ ও রহিমা বেগম আদালত হইতে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসার পর হতে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাদেরকে ও মামলার স্বাক্ষীদেরকে হুমকি প্রদান করছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে জন্য আমার ও আবুল হোসেনের পরিবারের লোকজনদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বিবাদী রহিমা বেগম আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নারী শিশু নির্যাতন মামলা দিবে বলে আমাদেরকে হুমকি প্রদান করছে।
বিবাদী রহিমা বেগম জমি ক্রয়ের একটি চেকের ফটোকপি নিয়ে আমার চাচাতো ভাই এম. নাসির উদ্দীন আহমদকে জড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে বলেছে ফ্রান্সে পাঠানোর জন্য চেক প্রদান করেন। আবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছে এএসআই পদে চাকুরীর জন্য চেক প্রদান করা হয়। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যাব তাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালায়। র্যাব আসার ঘটনাকে অনধিকার পরিচয়ে তাদের বাড়িতে ভাঙচুরের মতো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিবাদীরা ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি দিয়ে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রহিমা বেগমসহ অন্যান্যদের মোবাইলে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, রহিমা বেগমের আদালতের মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।