রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
এম এ কাসেম চৌধুরী :শান্তিগঞ্জে মানবপাচারকারী মাফিয়া চক্রের ১ সদস্য আশরাফ মিয়াকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৮ আগস্ট সোমবার বিজ্ঞ আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করার পর শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ৩০ আগস্ট বুধবার আসামীকে ৩ দিনের রিমান্ডে আনার পর শনিবার বিকালে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, বিগত ১৬ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে দরগাপাশা ইউনিয়নের মৃত আব্দুল হান্নান চৌধুরীর ছেলে কামরান আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে আসামপুর গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে আশরাফ মিয়া,আশরাফ মিয়ার মেয়ে পপি আক্তার, জগন্নাথপুর উপজেলার কামারখাল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া,মেয়ে সাবিনা বেগম, স্ত্রী শিবলী বেগম,আসামপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে এনাম তালুকদার, এনাম তালুকদারের স্ত্রী ছাবিহা বেগম, ছেলে জাবির,কুষ্টিয়া জেলার ভেরামারা উপজেলার মারফত সাহার ছেলে মোহাম্মদ সাহাকে আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় মানবপাচার পাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন ২০১২ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭৮/২০২৩।
এই মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে বিগত ১৬ আগস্ট রাতে আশরাফ মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের প্রেরণ করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে থানা পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড চাইলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ভোক্তভোগী মামলার বাদী কামরান মিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, আসামপুর গ্রামের এনাম তালুকদার অবৈদ পথে লিবিয়া গিয়ে মাফিয়া চক্রের সাথে যোগসূত্র করে ইউরোপের দেশ ইতালী পাঠানোর কথা বলে শান্তিগঞ্জ,দিরাই জগন্নাথপুর সহ বিভিন্ন উপজেলার কয়েক শতাধিক ছেলেকে লিবিয়া নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এনাম তালুকদার ও তার সহযোগীরা।
বিগত ২ বছর আগে এনাম ও তার সহযোগী আসামীদের সাথে ৭ লক্ষ টাকায় চুক্তি করে নগদ ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে কামরান চৌধুরীর ছেলে সাফুওয়ান আহমদ চৌধুরীকে ইতালী নেওয়ার কথা বলে প্রথমে লিবিয়া নেয় মাফিয়া এনাম। লিবিয়া নেওয়ার পর কয়েকবার তাকে বিভিন্ন টর্চার সেলে আন্ডার গ্রাউন্ডে ঢুকিয়ে দেশের বাড়ীতে ভিডিও কল দিয়ে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় কামরান চৌধুরীর কাছ থেকে। ২ বছর পর তাকে ইতালী পাঠাতে না পারায় ছেলেকে ফিরে ফেতে এবং মাফিয়া চক্রের সদস্য এনাম তালুকদার,তাহার স্ত্রী ছাবিহা বেগম,ছেলে জাবিরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশের মাটিতে এনে এবং বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের খোঁজে বের করে ফাঁশির কাষ্টে ঝুলিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান কামরান চৌধুরী।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: খালেদ চৌধুরী বলেন, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।