মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ অপরাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরশহরে অবস্থিত মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনী থেকে পঁচা-বাসি মিষ্টি ক্রয় করে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন যুক্তরাজ্য প্রবাসীসহ ৫জন ক্রেতা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদি হাসান সরেজমিনে সেই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পঁচা-বাসি মিষ্টি বিক্রির সত্যতা পান। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মধুবনকে পঁচা-বাসি মিষ্টি-সন্দেশ বিক্রির দায়ে এক লাখ টাকা অর্থদÐ প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর মাগুরা এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম খান হিরোসহ তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসীসহ আরো তিনজন রোববার সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় অবস্থিত মাওলানা জুবায়ের আহমদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মধুবন থেকে ৪০ পিস সন্দেশ ও ১ কেজি ৯০০ গ্রাম গুচি প্যারা ক্রয় করেন। পরে সেটি খেয়ে আশরাফুল খান, তাঁর প্রবাসী ভাই, নানা, চালকসহ ৫জন সাথে সাথে পেটের পীড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তারা বমি করেন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি আশরাফুল ইসলাম খান হিরো সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকারের কার্যালয়ে ক্রয় করা নষ্ট মিষ্টি ও সন্দেশ নিয়ে যান। পরে সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদি হাসান ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পঁচা-বাসি মিষ্টি ও সন্দেশ বিক্রির জন্য ডিসপ্লেতে রাখা হয়েছে দেখতে পান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পঁচা মিষ্টি-সন্দেশ জব্দ করে নষ্ট করেন এবং মধুবনের কুলাউড়া শাখার ব্যবস্থাপক দিলদার উদ্দিনকে এক লাখ টাকা অর্থদÐ করেন। এ সময় খাদ্য নিরাপত্তা অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কাযালয়ের কর্মকর্তা সৌরভ রায়, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক দীপঙ্কর ব্রহ্মচারী, কুলাউড়া উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জসিম উদ্দিনসহ কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদি হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মুধবন কুলাউড়া শাখার সন্দেশ খেয়ে ৫জন অসুস্থ ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে বিক্রির জন্য রাখা দুর্গন্ধযুক্ত মিষ্টি ও সন্দেশ পাই। সেগুলো জব্দ করে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করা হয়। জনস্বার্থে প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।