মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০১ অপরাহ্ন
শাহাব উদ্দিন আহমদ: মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে মনু নদীতে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য-নৌকা বাইচ সম্পন্ন হয়েছে। কোন মিস্ত্রি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়,ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্কীনায়’ সুর সম্রাট বাউল শাহ আব্দুল করিমের কালজয়ী এই গানের কথা আর জলের তুরঙ্গে আবারও মনু নদী মাতাতে হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংস্করণে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে মৌলভীবাজার পৌরসভা।
গতকাল বুধবার সেপ্টেম্বর বিকেলে মৌলভীবাজার মনু নদীর চাঁদনীঘাট ব্রীজ এলাকা থেকে এ ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদনীঘাট ব্রিজের নিচ থেকে বলিয়ারভাগ খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রতি নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে নদীর দুই পাড়ে অর্ধলক্ষাধিক দর্শকের ভিড় জমে। দীর্ঘদিন পরে আবারও নৌকা বাইচে উৎসব মুখর পরিবেশ। মৌলভীবাজারে প্রতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে নদীর দুই পাড়ে প্রচন্ড গরমকে উপেক্ষা করে নদীর দুই তীর,বিল্ডিংয়ের ছাদ ও গাছের উপরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত হাজার হাজার জনতা ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। নৌকা বাইচ কমিটির আহবায়ক জালাল আহমদ সঞ্চালনায় ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে এময় প্রধান অতিথি ছিলেন- মৌলভীবাজার-রাজনগর আসনের সংসদ সদস্য মো: নেছার আহমদ,বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম,পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান পিপিএম (বার)। পরিশেযে প্রধান অতিথি ও অতিথীরা বিজয়ীদের মাঝে ১ম স্থান অধিকাররী শাহ মোস্থফা তরি (মোটরসাইকেল),২য় স্থান অধিকার করে বন্ধুক সোনারতরী (রেফ্রিজারেটর/ফ্রিজ) ও ৩য় স্থান অর্জন করে শাহ পরানের তরী এলইডি রঙ্গিন টেলিভিশন। উক্ত মোট ৮টি অংশকারী দল অংশ নেয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি নেছার আহমদ এমপি ও অন্যান্য অথিতিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
দর্শক একাদিকরা বলেন- নৌকা বাইচ গস্খামঞ্চলে মানুষের বিনোদনের এশমাত্র মাধ্যম কিন্তুু এ খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। খেলাটি দরে রাখার আহবান জানাই।
গ্রহনকারী বলেনপৌরসভার উদ্যোগে নৌকা বাইচের আয়োজন করায় পৌর মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বণলন আগামীতেও জেন ব্যাহত থাকে।
ফজলুর রহমান, মেয়র, মৌলভীবাজার পৌরসভা।
বলেন- এই ঐতিহ্যবাহী প্রাণবন্ত খেলায় উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মো: নেছার আহমদ এমপি,মৌলভীবাজার-রাজনগর ৩ আসনের সংসদ সদস্য বলেন- গস্খাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা বিনোদনের জন্য আনন্দদায়ক। সেটি দরে রাখার জন্য কতৃপক্ষকে বলবো প্রতিবছর ধারাবিাহিকতা অব্যাহত রাখুক।
নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য দরে রাখবেন আয়োজকরা এমটাই প্রত্যাশা।