বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
তানভীর চৌধুরী :: বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর শুভ আবির্ভাব ঘটে এই দিনে। বাঁচাও ইমান বাঁচাও দেশ সাহেব কিবলার নির্দেশ।
দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের সময় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে কমলগঞ্জের গাউছিয়া ছোবহানিয়া এরশাদিয়া সুন্নী মাদরাসার মোবারক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিশোধের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান।
দুপুর ১১টা ৩০ মিনিটের সময় পবিত্র ঈদে-মিলাদুননবী (সাঃ) উপলক্ষে কমলগঞ্জ উপজেলা আহেল সুন্নাত ওয়াল জামাত এর মোবারক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ জুয়েল আহমদ
এসময় কমলগঞ্জ উপজেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের সভাপতি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (১২ রবিউল আউয়াল) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল।
ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’র যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসাবে পালন করে থাকে।