বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি গোলাম রাব্বানীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
নামাজে জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলালসহ অসংখ্য আইনজীবী জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে বিচারপতি গোলাম রাব্বানীর মরদেহে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
গত ১৪ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১টায় ঢাকার গুলশানে নিজ বাসভবনে সাবেক বিচারপতি গোলাম রাব্বানীর (৮৫) মৃত্যু হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টেরর মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধান বিচারপতি।
বিচারপতি গোলাম রাব্বানী ২০১০ সাল থেকে ৭ বছর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে তাকে সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পদেই দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারক হন। পরের বছর ২০০২ সালের ১০ জানুয়ারি অবসরে যান।
কর্মজীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, ফতোয়া সংক্রান্ত মামলা, তালাক ও ভরণপোষণ সংক্রান্ত বিষয়ে উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন, যা বিভিন্ন মহলে এখনও সমাদৃত। গোলাম রাব্বানী আইন ও সংবিধান নিয়ে দুই ডজনেরও বেশ বই প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামের ওপর তার লেখা বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে।