1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিনহার সাজা বিচার বিভাগের জন্য সুখকর নয়: আইনমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬৪৯ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:  দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাজা বিচার বিভাগের জন্য সুখকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আমিও আইনজীবী। তাই আমার জন্য এবং বিচার বিভাগের জন্য এটা সুখকর নয়। তবে তিনি এও বলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এস কে সিনহার রায়ে এটাই প্রমাণিত। দুদকের করা মামলায় মঙ্গলবার এস কে সিনহার কারাদণ্ডের আদেশের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়া এমন মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৭৫ সালে থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কী দেখেছি—এই দেশে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করলেও একটা মামলা হয় না। এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং অন্যান্য যেসব দুর্নীতির বিচার হয়েছে সেসবের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে আইনের শাসন আছে। অন্যায় করলে আদালত এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। অন্যায়ের বিচার হবে এবং প্রতিরোধ হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ইতিহাসে কোনো বিচারপতি এ রকম অন্যায় করেননি। যে কারণে বিচার করার প্রয়োজন হয়নি। অন্যায় হলে নিশ্চয়ই বিচার হতো। পৃথিবীতে অনেক নজির আছে। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে-ফ্রেঞ্চ রেভল্যুশনেও দেখবেন, সেটা এখানে বড় কথা নয়। সেটাকে উদাহরণ হিসেবেও আনা উচিত না। কথা হচ্ছে, অন্যায় করলে বিচার হবেই। প্রমাণিত হচ্ছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এটা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আই অ্যাম নট ভেরি হ্যাপি। কারণ বিচার বিভাগের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন, তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন। আমি একজন আইনজীবী, বিচার বিভাগের সঙ্গে সারাজীবনই সম্পৃক্ত। আমার জন্য এটা সুখকর হতে পারে না।

এর আগে দুপুরে দুদকের করা মামলাটিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম । এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানিলন্ডারিং ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে চলার কারণে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে সাত বছর জেল খাটতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

রায়ে এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ আত্মসাতে সহযোগিতা করায় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে দেওয়া হয়েছে চার বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে দেওয়া হয়েছে তিন বছর করে কারাদণ্ড। আলোচিত এই মামলার রায়ে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তাদের নামে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেই ঋণ নেওয়া হয় এবং পরে তা সরানো হয় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ঢাকায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেছিলেন। ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দুদক জানায়, তারা ফার্মার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে দুই ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনের ভুয়া নথি ব্যবহার করে চার কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। পরবর্তীতে আত্মসাৎ করা টাকা বিচারপতি এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..