1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিভ্রান্ত করতে সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি রাশিয়ার : ইউক্রেন

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২
  • ১৮৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযোগ, বিভ্রান্ত করতেই রাশিয়া সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে দৈনিক কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, কিয়েভ এবং চেরনিহিভ থেকে রাশিয়ার ইউনিটগুলো ধারাবাহিকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে। রাশিয়া ইতোমধ্যে বলেছে, তারা এখন পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের অভিযানে জোর দেবে।

রুশ সেনাদের দূরে সরে যাওয়ার ঘটনায় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর বিশ্বাস, রাশিয়ার এই সেনা সরানো ‘সম্ভবত কোনো একক ইউনিটের অদল-বদল’। আর তা করার উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের সামরিক নেতাদের বিভ্রান্ত করা এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে ‘ভুল ধারণা’ তৈরি করা। বুধবার ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে বিবিসি অনলাইনের দেওয়া লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানানো হয়।

রাশিয়ার সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতির প্রতিক্রিয়ায় পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিবরি যে বিবৃতি দিয়েছেন, ইউক্রেন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বশেষ মন্তব্যে যেন সেই বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত হলো। বিবৃতিতে জন কিবরি বলেছেন, শহর থেকে রাশিয়ান সৈন্যরা দূরে সরে গেলেও কিয়েভের জন্য হুমকি রয়ে গেছে।

এ ছাড়া ইউক্রেন সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া ওই আপডেটে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্কের কাছে শত্রুরা এখনো ধারাবাহিকভাবে ‘গুলি এবং সহিংসতা’ চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চলমান আলোচনায় অগ্রগতি আনতে কিয়েভ ও চেরনিহিভে অভিযানের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে।

রুশ উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন বলেন, এই সিদ্ধান্তের মানে হলো সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে এবং ‘অধিকতর আলোচনার পরিস্থিতি তৈরিতে’ চলমান আলোচনায় ‘আস্থা বাড়নো’।

তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় দৃশ্যত কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। আলোচনা শেষে রাশিয়া বলছে, আলোচনা গঠনমূলক ছিল। আলোচনায় যে অগ্রগতি হয়েছে তার প্রমাণ, রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের প্রস্তাব পেশ।

প্রস্তাব গ্রহণ করে রাশিয়া বলেছে, তারা এখন এই প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পেশ করবেন।

প্রথম দিনের আলোচনায় অংশ নেওয়া ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, আলোচনায় তারা রাশিয়ার কাছে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে নিরপেক্ষ অবস্থান মেনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। আর নিরাপত্তা নিশ্চয়তাদানকারীর হিসেবে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আটটি দেশের নাম প্রস্তাব করেছেন।

অর্থাৎ এই প্রস্তাবের অর্থ হলো ইউক্রেন কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না বা কোনো সামরিক ঘাঁটি দেশটিতে করতে দেবে না।

এ ছাড়া ক্রিমিয়ার অবস্থান কি হবে তা ঠিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে আগামী ১৫ বছর আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি শুরু হলে তা কার্যকর হবে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..