সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ২৩৪/১০(৬৪.২ ওভারে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ১৩৭/৪ (৪২.০ ওভারে)
(২য় দিন লাঞ্চ ব্রেক পর্যন্ত)
প্রথম দিনের শেষ ঘন্টায় কি স্বাচ্ছন্দেই না ব্যাট করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের তিন পেসার কিংবা এক স্পিনারের কেউ আতঙ্ক ছড়াতে পারেননি প্রথম দিন। ১৬ ওভারে ৬৭/০ স্কোরে লিডের আভাস দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে অন্য এক বাংলাদেশ দল হাজির। সেন্ট লুসিয়ার উইকেটে সুইং নেই, তা টের পেয়ে শর্ট বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপর্যস্ত করতে চেয়ে সফল পেসার শরিফুল-খালেদ।
অফ স্পিনার মিরাজও বলে টার্ন পেতে শুরু করেছেন। এই ত্রয়ীর বোলিংয়ে ৭০ রান তুলতে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেট। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৯৭ রানে।
বাংলাদেশের ২৩৪/১০ স্কোরের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দিনের শেষ ঘন্টায় স্কোর টেনে নিয়েছে ৬৭/০-তে। পিছিয়ে ছিল তারা ১৬৭ রানে।
তবে দ্বিতীয় দিন প্রথম ঘন্টা পেরুনোর আগে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু বাঁ হাতি পেসার শরিফুল। দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুলের শর্ট ডেলিভারিতে জন ক্যাম্পবেল পুল করতে যেয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন (৭৯ বলে ৬ চার-এ ৪৫)। কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং পার্টনারশিপে সর্বশেষ ৪টি’র সব ক’টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে।
আগের দিন ৩০ রানে ব্যাটিংয়ে থাকা ব্রাথউইট স্লিপ কর্ডন দিয়ে তিন রানে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৭তম এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। তবে ব্রাথ্রওয়েটকে ইনিংস বড় করতে দেননি মিরাজ। প্রথম দিন ১ ওভারে মার খেয়ে (৯রান) দ্বিতীয় দিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন মিরাজ। তাকে ফরোয়াড ডিফেন্স করতে যেয়ে বোল্ড উইন্ডিজ অধিনায়ক (১০৭ বলে ৭ চার এ ৫১)।
লাঞ্চের যখন বাকি মাত্র ১০ মিনিট, তখন খালেদের এক ওভারে দুই উইকেটে কেঁপে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিন ৬ ওভারের স্পেলে ছিলেন উইকেটহীন। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগে ৬ ওভারের স্পেলে (৬-০-১৫-২) ফিরিয়ে দিয়েছেন রেইফার (২২) এবং বোনারকে। আউটসাইড অফ ডেলিভারিতে খেলতে যেয়ে রেইফার ঠিক প্রথম দিন সাকিবের প্লেড অনে কাঁটা পড়ার কথাটা মনে করিয়ে দিয়েছেন। শর্ট বলে ডিফেন্স করতে যেয়ে ইনসাইজ এজ হয়ে বোনার বোল্ড হয়েছেন কোনো রান না নিয়েই (৭ বলে ০)।
দিনের প্রথম সেশনে আরো বড় চাপ সৃষ্টি করা যেতো। তবে শুরু থেকে স্লিপে মাত্র ১ ফিল্ডার ব্যবহারে তা সম্ভব হয়নি। স্লিপ কর্ডন দিয়ে বেশ ক’টি বাউন্ডারি হয়েছে। ক্যাচ থেকে বেঁচে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।