1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ধর্ম নিয়ে কেউ যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৫ বার পঠিত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : ধর্ম নিয়ে কেউ যেন আর কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে আলেম-উলামাদের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন সরকারপ্রধান।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই সরকার প্রতি উপজেলায় মডেল মসজিদ করছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি, ইসলাম ধর্ম যাতে আরও উন্নতভাবে পালন করতে পারে। ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা যাতে পায়। ইসলামের মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার যাতে ঘটে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি চাই সত্যিকারের ইসলামের চর্চা হোক। প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই মডেল মসজিদ করা হয়েছে। আমাদের সমাজে আলেম-উলামাকে সবাই শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখে। এজন্য সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দূরীকরণে তাদের ভূমিকা জরুরি। তাদের বয়ানে মানবিক গুণগুলোর কথা যেন উঠে আসে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর দ্বারা ইসলামেরও বদনাম হয়। এজন্য এ সম্পর্কে সবার সচেতনতা কামনা করেন তিনি। ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে অভিভাকদের সচেতন থাকতেও বলেন সরকারপ্রধান।

আওয়ামী লীগ সব সময় ইসলামের খেদমত করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়া ঠেকাতে ইমামদের প্রতি সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ইসলামের খেদমতে অনেক অবদান রেখে গেছেন। আমরাও বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলামের খেদমত করে চলেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক যেন নিজ নিজ ধর্ম ঠিক মতো পালন করেন সে বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে ধর্মের বদনাম হয়; বিষয়টি নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে মডেল মসজিদগুলোর মাধ্যমে ইমামরা ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, ইসলামের সঠিক চর্চার মাধ্যমে সমাজের সব অসঙ্গতি দূর করে এগিয়ে যেতে হবে। সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে অধর্ম চর্চা বন্ধ করবে এসব মসজিদ। এছাড়া এগুলো ইসলামের জ্ঞান ও মূল্যবোধ বাড়াতেও কাজ করবে।

বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ার কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে তিনি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। তার সময়েই ওআইসির সদস্য হয় বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুই ইসলামিক ফাউন্ডেশেন ও ইসলামিক বোর্ড গঠন করেন।

বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে সেটিও তিনি দেশে নিয়ে আসেন এবং সেখানে জায়গা ঠিক করে দেন।
বক্তব্যের শেষে তিনি আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের সদর ও কটিয়াদি, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, নরসিংদীর সদর উপজেলা ও মনোহরদি, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার ধুনট ও নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা, পাবনার ভাঙ্গুরা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা, শেরপুর সদর, পিরোজপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও কসবা, খাগড়াছড়ির সদর ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, কুষ্টিয়ার খোকশা ও ভেড়ামারা, মেহেরপুর জেলা সদর ও গাংনী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ জেলা সদর ও জগন্নাথপুর এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মডেল মসজিদগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এছাড়াও থাকবে হজ গমনে ইচ্ছুকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা শিক্ষণ, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং ইসলামি দাওয়াত, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং মসজিদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি অতিথিদের বোর্ডিং সুবিধা।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন সারা দেশে মোট ৫৬৪টির মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..