1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

‘ক্রিকেটের বরপুত্র’ শচীনের ৫০তম জন্মদিন আজ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : কেউ তাকে বলেন ‘ক্রিকেটের বরপুত্র’ আবার কারও চোখে তিনি খোদ ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’। এই ঈশ্বর শব্দটায় অনেকের আপত্তি থাকতে পারে, তবে আদতে তিনি তাই। ভারতে ক্রিকেট ধর্ম হলে, ঈশ্বর তো শচীনই হবেন। তিনি খেলা মানেই স্টেডিয়ামে জনসমুদ্র। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ম্যাথু হেইডেন একবার বলেছিলেন, ‘আমি ঈশ্বরকে দেখেছি। তিনি ভারতের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করেন।’ বাকিদের থেকে কোথায় আলাদা শচীন? কেন তার বিশ্বজোড়া এত প্রভাব? কেন তাকে ঘিরে এত বিস্ময়? অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মতে, ‘বিশ্বে দু’ধরনের ব্যাটার হয়। এক, শচীন টেন্ডুলকার। দুই, বাকি সবাই।’ব্যাট-বলের এই খেলাটির ইতিহাস লিখতে বসলে তার নামটা যে ওপরের সারিতে রাখতেই হবে। ভারতীয় এই ব্যাটিং জিনিয়াস ক্যারিয়ারজুড়ে সর্বোচ্চ ফিফটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। এবার জীবনের ইনিংসেও পঞ্চাশ হাঁকালেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। তার অর্ধশত বসন্ত আজ (২৪ এপ্রিল)। ১০০ সেঞ্চুরি, ২০০ টেস্টের পর জীবনের ৫০।

১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর, বিশ্ব ক্রিকেটে পা রাখেন ১৬ বছর ২০৫ দিন বয়সী এক তরুণ। এই বয়সে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোয় ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু সেই বয়সেই শচীন রমেশ টেন্ডুলকার ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও ইমরান খানদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। যাদের নামে তখন বিশ্ব ক্রিকেটের বাঘা বাঘা ব্যাটাররাও দুই ঢোঁক বেশি জল খেতেন!

বিস্ময়ের শুরুটা ঠিক তখন থেকেই। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘বিস্ময় বালক’ প্রায় ১০ বছর আগেই ক্রিকেট ছেড়েছেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর ভারতের জার্সিতে তাকে দেখা যায়নি। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে প্রায় এক দশক।

শচীন-ভক্তরা এখনও চোখ বন্ধ করেই তার নিখুঁত অফ-ড্রাইভ, স্কোয়ার কাট বা লেট কাট দেখতে পারেন। যদিও ১০ বছর ধরে ব্যাটই ধরেন না ক্রিকেটের এই বরপুত্র। তবে এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনের আঙিনায় ব্যাট হাতে আলো ছড়ান তিনি। তার চেনা সেই গ্রিপ আর ভারী ব্যাটে এখনও ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির দাপট দেখা যায়।

ভারতীয় এই ক্রিকেট মহাতারকা কেমন খেলতেন, তা কোনো ক্রিকেটপ্রেমীর অজানা নয়। এই প্রসঙ্গে ডন ব্র্যাডম্যান একবার বলেছিলেন, ছেলেটা অনেকটা আমার মতো খেলে।

শচীনের প্রসঙ্গ উঠলে ভিভিয়ান রিচার্ডসের মন্তব্যও টানতে হয়। তার ভাষ্য, শচীন অসাধারণ। আমার মতে, এত দিন যে ক্রিকেট খেলা হয়েছে এবং পরে খেলা হবে, তার যেকোনো পর্যায়ে প্রথম থেকে শেষ বল পর্যন্ত মানিয়ে নিতে পারে শচীন। ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ নিখুঁত একজন ব্যাটার।

তবে একদিনের ক্রিকেটে শচীনের শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচেই গোল্ডেন ডাকের দেখা পান বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাস গড়া এই ব্যাটার। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান ৭৯তম ম্যাচের ৭৬তম ইনিংসে। আর এরপরই দেখেন আরও তিনটি গোল্ডেন ডাক! ততদিনে টেস্ট ক্রিকেটে সাতটি ১০০ রানের ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি।

আলোচনা-সমালোচনা, কাটাছেঁড়া-বিশ্লেষণ কম হয়নি তাকে নিয়ে। তবু শচীন এগিয়েছেন। শুধুই এগিয়েছেন। থেমেছেন ১০০টি শতরান করেই।

অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের মতে, ভারতে ক্রিকেট ধর্ম হলে, শচীন ঈশ্বর। আর শচীন মানেই গ্যালারি ভর্তি। এই প্রসঙ্গে ম্যাথু হেডেন বলেছিলেন, আমি ঈশ্বরকে দেখেছি। তিনি ভারতের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করেন।

খেলোয়াড়-জীবনে শচীনের সব থেকে বড় প্রতিযোগী ছিলেন ব্রায়ান লারা। এই ক্রিকেটারও শচীনে মুগ্ধতা গোপন করেননি। তার ভাষ্য, পৃথিবীর একমাত্র ব্যাটার, যার খেলা আমি খরচ করে টিকিট কেটে গ্যালারিতে বসে দেখতে রাজি, সে হলো শচীন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..