বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে উড়িয়ে আনার পর তার কাজের ক্ষেত্র কোথায় হবে তা নিশ্চিত ছিল না। তৎকালীন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স পদত্যাগ করার পর থেকে মূলত জাতীয় দলের সঙ্গী এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ। বাংলাদেশ নতুন সহকারী কোচ নিক পথাসকে নিয়োগ দেওয়ার পর সিডন্সের সেই যাত্রার সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
সাকিব আল হাসান কিংবা তামিম ইকবাল নয়, এখন থেকে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা বাংলাদেশ ‘এ’, বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটার নিয়ে কাজ করবেন তিনি। আগামীর সাকিব-তামিম তৈরি করবেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সিডন্স নিজেই জানিয়েছেন তার দায়িত্বের কথা।
ফেসবুকে সিডন্স লেখেন, ‘সংক্ষিপ্ত বিরতির পর আমি ঢাকায় ফিরেছি। আমি আর জাতীয় দলের সঙ্গে থাকছি না। কারণ, আমি মনে করি বিসিবিতে আমার সেরা কাজ হবে পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দেখভাল করা ও তাদের সেরা প্রস্তুতির মাধ্যমে জাতীয় দলের জন্য গড়ে তোলা।’
‘আমি তরুণ ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। আমি ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে ‘এ’ দল ও টাইগার্সের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছি। জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করাও আমি পছন্দ করি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্কিলে উন্নতি’-আরও যোগ করেন তিনি।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিসও বলছেন তেমনটাই, ‘জেমি সিডন্সের নিয়োগটা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে। ও এতদিন জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছে। এখন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়েই কাজ করবেন টাইগার্স ও ‘এ’ দলের প্রোগ্রামে। জাতীয় দলের সঙ্গে সব সময় সফর করবে না। প্রয়োজন হলে করবে, না হলে করবে না। ওর মূল কাজ হচ্ছে জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটারদের তৈরি করা।’
গত বছরের শুরুতে সিডন্সকে নিয়োগ দিয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড। তখন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, ‘সিডন্সকে মূলত বিসিবির ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে যখন যেভাবে সুযোগ পাই ব্যবহার করবো।’
এর আগে ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ পর্যন্ত সিডন্স বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় বছরে এসে ক্রিকেটার তৈরির দায়িত্ব পেলেন সিডন্স। এবার দেখার বিষয় সিডন্সের নতুন যাত্রা কেমন হয়।