বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন
জেবা বলেন, ‘এটা বছর খানেক আগের ঘটনা। সে সময় নিয়ম ছিল, রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না। তারপরও তারা গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং করাতেন। অথচ চাইলে সন্ধ্যায়ও শুটিং করতে পারতেন।’ অভিনেত্রী জানান, ‘প্রথম কয়েক দিন কাজ করলেও পরে ট্রান্সপোর্ট অসুবিধার কারণে আমি তাদের বলি, এই কাজটা আর করতে পারব না। আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান। বলেন, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।’
জেবার অভিযোগ, ‘শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল। কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে হুমকি দেন যে, আমার মিডিয়ায় কাজ করা বন্ধ করে দেবেন। এসব কারণে আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেই। এরপরই নির্মাতা দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দেন বলে দাবি করেন জেবা জান্নাত। তার কথায়, ‘ওই ঘটনার পর দোদুল ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই তাহলে সবকিছু ঠিক করে দেবেন। সেই প্রস্তাব আমি গ্রহণ করিনি। এরপর থেকেই ওনারা আমার পেছনে লেগেছেন।’
এই অভিনেত্রীর আরও দাবি, ‘শুধু আমার সঙ্গে নয়, এমন আচরণ তারা আরো অনেকের সঙ্গেই করেছেন। কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে তারা অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন। অথচ ওনারাই আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন।’ যদিও জেবা জান্নাতের সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন অভিনেতা-নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। বলেছেন, ‘উনি (জেবা) আমার সঙ্গে কাজ করেন না কতদিন? উনাকে টিকটকে দেখে আমার স্ত্রী কাস্ট করে। এরপর জেবা আমার স্ত্রীকে রিকোয়েস্ট করে যাতে আমার নাটকে তাকে কাস্ট করি।’
দোদুলের দাবি, ‘আমি তো ওই মেয়েকে চিনতামই না। গভীরভাবে চিনিও না। সে রকম পরিচিতও না। আমার স্ত্রীর মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয়। এরপর আমি তাকে নাটকে নেই। এখন সে যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এত বছরের ক্যারিয়ার আমার, আমি খুব নীরবে-নিঃশব্দে কাজ করি। আমি দোষী হলে সে কেন আমার বিরুদ্ধে এতদিন অভিযোগ করেনি?’
দোদুলের আরও দাবি, ‘জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছে। কিংবা তার নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব কমাতে এ ধরনের অভিযোগ করছে। সে আমার স্ত্রীর সঙ্গেও অনেকদিন কাজ করে না। ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে যখন তাকে ডেকেছে, তখন কেন সে অভিযোগ করেনি?’ নির্মাতার বলেন, ‘লাজুক যে নাটক বানিয়েছে, সেই নাটকের শুটিংয়ে তো আমি এক সেকেন্ডের জন্যও যাইনি। অনেকদিন জেবার সঙ্গে আমার ফোনে কিংবা সামনাসামনিও যোগাযোগ নেই। আমি আমার জীবন ও কাজকর্ম নিয়ে আছি। জেবা একাই আমাকে খারাপ বানিয়ে দিলেন! আমি এত বছর ধরে কাজ করি মিডিয়াতে, আর কেউ তো খারাপ বলল না!’
অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগে সম্প্রতি এক বিবৃতি দিয়ে জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ডিরেক্টরস গিল্ড। এ ব্যাপারে অভিনেত্রী বলেন, ‘এক বছর আগের ঘটনা এখন সামনে আনার উদ্দেশ্য বুঝতে পারছি না। এটাও বুঝতে পারছি না, কেন আমি নিষিদ্ধ হলাম। স্পষ্টভাবে তারা নিষিদ্ধের কোনো কারণও আমাকে জানায়নি। আমি নতুন এসেছি বলেই কি তারা আমাকে নিষিদ্ধ করল, আর আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম!’
প্রয়াত রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারির ফেসবুক টক শোতে প্রথমবার হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। এরপর টিকটক করে পরিচিতি পান। সেখান থেকেই নাম লেখান টিভি নাটকে। ‘ক্রস কানেকশন’, ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশকিছু নাটকে দেখা গেছে তাকে।