4:42 am, Wednesday, 19 November 2025

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে করিডোর চায় মেঘালয়

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট চায় মেঘালয় রাজ্য সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেঘালয় রাজ্য সরকার মনে করে, হিলি–মাহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃজাতীয় অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনের মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে।
হিলি পশ্চিবঙ্গের একটি সীমান্ত শহর হলেও মাহেন্দ্রগঞ্জ মেঘালয়ের গারো পাহাড়ী অঞ্চলের একটি সীমান্ত শহর। আর এই দুই শহরের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এই দুই অঞ্চল ব্যবহার করে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি মেঘালয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে পরিকল্পনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটটি চালু হলে কলকাতা থেকে তুরা, বাগমারা, ডালু এবং ডাউকির মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে ভ্রমণ সময় ও খরচ ২৫-৬০ শতাংশ কমে আসবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন করপোরেশন (এনএইচআইডিসিএল) এরই মধ্যে এই সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, “যদি বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হিলি এবং মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জের মধ্যে একটি সংযোগ করিডর নির্মাণ করা যায়, তাহলে মেঘালয়, আসামের বরাক উপত্যকা এবং ত্রিপুরার মতো জায়গাগুলোর সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ৬০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে।”
কনরাড সাংমা আরো বলেন, “এটি হবে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক করিডর। তবে কবে নাগাদ এটি হতে পারে, তা বলা একটু কঠিন। কারণ এর সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারও যুক্ত। বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের আগে, দিল্লি এ ব্যাপারে ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করেছিল এবং এটি ছিল প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক। আমরা আবার এটির জন্য চাপ দেব।”

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

শ্রীমঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে করিডোর চায় মেঘালয়

Update Time : 09:00:18 am, Saturday, 8 March 2025

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট চায় মেঘালয় রাজ্য সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেঘালয় রাজ্য সরকার মনে করে, হিলি–মাহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃজাতীয় অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনের মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে।
হিলি পশ্চিবঙ্গের একটি সীমান্ত শহর হলেও মাহেন্দ্রগঞ্জ মেঘালয়ের গারো পাহাড়ী অঞ্চলের একটি সীমান্ত শহর। আর এই দুই শহরের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এই দুই অঞ্চল ব্যবহার করে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি মেঘালয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে পরিকল্পনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটটি চালু হলে কলকাতা থেকে তুরা, বাগমারা, ডালু এবং ডাউকির মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে ভ্রমণ সময় ও খরচ ২৫-৬০ শতাংশ কমে আসবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন করপোরেশন (এনএইচআইডিসিএল) এরই মধ্যে এই সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, “যদি বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হিলি এবং মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জের মধ্যে একটি সংযোগ করিডর নির্মাণ করা যায়, তাহলে মেঘালয়, আসামের বরাক উপত্যকা এবং ত্রিপুরার মতো জায়গাগুলোর সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ৬০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে।”
কনরাড সাংমা আরো বলেন, “এটি হবে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক করিডর। তবে কবে নাগাদ এটি হতে পারে, তা বলা একটু কঠিন। কারণ এর সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারও যুক্ত। বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের আগে, দিল্লি এ ব্যাপারে ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করেছিল এবং এটি ছিল প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক। আমরা আবার এটির জন্য চাপ দেব।”