রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে পুলিশ-র্যাব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, গুলিস্তান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে এসব এলাকায় অবরোধের সমর্থনে কোনো মিছিল-পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের একটি বাসের সুপারভাইজার মো. দুলাল হোসেন বলেন, চারিদিকে যেভাবে বাস পোড়ানো হচ্ছে সে ভয়ে ভোর থেকে একটি বাসও এখান থেকে ছেড়ে যায়নি। বেলা বাড়লে পরিস্থিতি দেখে হয়তো বাস ছাড়তে পারে। একই জায়গায় কথা হয়, কুমিল্লাগামী যাত্রী তবারক হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোরে এখানে এসেছি। বাড়ি যেতে হবে। কিন্তু কোনো বাস যেতে চাচ্ছে না। কি আর করার এখন লোকাল বাসে ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।
শনিরআখড়ায় কথা হয় শামীম আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে চাকরি করি। আমাদের তো অফিস করতেই হবে। এ কারণে বাসা থেকে বের হয়েছি।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ৭০ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া র্যাব সদস্যরাও সেখানে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা জলকামান, এপিসি নিয়ে প্রস্তুত আছি। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতকে মাঠে দেখা যায়নি।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তিন দিনের এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।
শনিবারের মহাসমাবেশ পণ্ড এবং সেখানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
অন্যদিকে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সারা দেশে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে তিন দিনের এ কর্মসূচি কীভাবে পালন করা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি বিএনপি কিংবা অন্যান্য দলগুলো।