1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

যেন নামেই ৫০ শয্যা হাসপাতাল বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে রুম ১৫ বছর আর ল্যাবরেটরীতে তালা ৪ বছর

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১
  • ১৭০ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন নামেই ৫০ শয্যার হাসপাতাল। ৫০ শয্যায় উন্নীতের প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো বিভাগেই বাড়েনি লোকবল। বরং ৩১ শয্যায়ই রয়েছে ব্যাপক জনবল সংকট। ১৫ বছর ধরে নেই এমটি রেডিও গ্রাফার। ৪ বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে নতুন এক্স-রে মেশিন। ৪ বছর থেকে তালাবদ্ধ প্যাথোলজিকেল পরীক্ষাগার। সাধারণ এক্স-রে, ইউরিন টেষ্ট, রক্ত, ব্লাড সুগার, হিমোগ্লােবিন, ব্লাডগ্রুপিংসহ সাধারণ পরীক্ষা-নীরিক্ষা সেবা দিতেও ব্যর্থ সরকারী এ হাসপাতালটি। ফলে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে উলটো ভোগান্তিতে পড়েন। নেই কোন নির্দিষ্ট ষ্টোর রুম। এতে এখানে সেখানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও জিনিসপত্র।

জানা গেছে, ৩১ শয্যার জনবল সংকটের মধ্যেই ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ বর্তমান বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি ৫০ শয্যা বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন। ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) ডেপুটেশন জনিতে কারণে ৪ বছর ধরে বন্ধ প্যাথোলজি বিভাগ। ফলে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। সাধারণ পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য রোগীদের ছুটতে হয় বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারে। ১৫ বছর ধরে শূন্য এমটি রেডিও গ্রাফারের পদ। এতে রোগিরা পাচ্ছে না কোনো ধরণের এক্স-রে সুবিধা। টেকনেশিয়ানের অভাবে এক্স-রে রুমে ৪ বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ১০ লক্ষাধিক টাকার নতুন এক্স-রে মেশিন। ৫০ শয্যার জনবল থাকাতো দুরের কথা, ৩১ শয্যার জন্য ২১টি নার্সের পদে কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন। ৪ বছর ধরে মাত্র ১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়ে পরিস্কার রাখা হচ্ছে তাবদ হাসপাতাল ! ২জন নিরাপত্তা প্রহরীর ১টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। জনবল সংকটে মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১০ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, প্রায় ৩ বছর আগে এ হাসপাতালকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু কোনো জনবল বাড়ানো হয়নি। ৩১ শয্যার ঘাটতি জনবলেই চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। গুরুত্বপুর্ণ শূন্য পদগুলো পুরণের জন্য একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..