1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে : পরিবেশ মন্ত্রণালয়

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ৪৪২ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক :: ডুলাহাজারা ও গাজীপুরের পর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ৫ হাজার ৬৩১ একর বনভূমির ওপর নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনের ওপর বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে আজ এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, জুড়ী উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির টিম লিডার ড. তপন কুমার দে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্যান্য এলাকার চাইতে লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপন অধিক সুবিধাজনক ও বাস্তবভিত্তিক। এলাকার মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় এ সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এখানে সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে বনভূমি অবৈধ দখল হতে রক্ষা পাবে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের মানের উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকগণ এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর সাথে পরিচিত হতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৫৮ টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অবশিষ্ট পরিবারগুলোর সমন্বয়ে ইকোভিলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করে সাফারি পার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে ৬০ কিমি উত্তর পূর্ব, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত হতে ২০ কিমি দক্ষিণ এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ৫০ কিমি উত্তর দিকে অবস্থিত হওয়ায় পর্যটকদের জন্য এ সাফারি পার্কে ভ্রমণ সুবিধাজনক হবে। বর্তমানের ২০৯ প্রজাতির প্রাণী এবং ৬০৩ ধরনের প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পন্ন প্রস্তাবিত এলাকায় সাফারি পার্ক স্থাপিত হলে এখানে আরও অধিক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর সম্মিলন ঘটানো হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..