1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নারীদের ব্যাপক যৌন হয়রানির রিপোর্ট

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৭৯ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে কর্মচারীদের এক-তৃতীয়াংশই কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন – বলা হচ্ছে এক রিপোর্টে। এ বছরের প্রথম দিকে একজন মন্ত্রীর দফতরের সাবেক কর্মচারী ব্রিটানি হিগিন্স অভিযোগ করেছিলেন যে তারই একজন সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেছেন। ওই ঘটনার পর রাজধানী ক্যানবেরায় এ ধরনের বহু অসদাচরণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে।

এ প্রেক্ষাপটেই এক অনুসন্ধানের পর “সেট দ্য স্ট্যান্ডার্ড” নামের রিপোর্টটি উপস্থাপন করা হলো। এর রচয়িতা এবং যৌন বৈষম্য সংক্রান্ত কমিশনার কেট জেংকিন্স বলছেন, এসব ঘটনার শিকারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বিসদৃশরকমের বেশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের ৫১ শতাংশেরই কোন না কোন ধরনের নিগ্রহ, যৌন হয়রানি এবং যৌন আক্রমণ বা আক্রমণের চেষ্টার অভিজ্ঞতা হয়েছে। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে উত্থাপিত রিপোর্টটিতে ১,৭২৩ জন ব্যক্তি ও ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, আর নারী রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এর অনুপাত আরো বেশি। একজন এমপি নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, “উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষ রাজনীতিবিদরা এগুলোকে কোন ঘটনা বলেই মনে করে না। নারীদের উঠিয়ে নেয়া, ঠোঁটে চুমু দেয়া, স্পর্শ করা, নিতম্বে চাপড় দেয়া, নারীর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা – এগুলো সাধারণ ঘটনা।”

“আমি যেটা বলতে চাই যে, সংস্কৃতি এটাকে অনুমোদন করেছে, উৎসাহিত করেছে।”- বলেন তিনি।

মিজ জেংকিন্স বলেন, এসব ঘটনার শিকার এবং তাদের সহযোগীদের জন্য এসব ছিল মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এবং তা পার্লামেন্টের কাজের মান ক্ষুণ্ণ করেছে, দেশেরও ক্ষতি হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই রিপোর্টে উদঘাটিত তথ্যকে “চরম দুঃখজনক” বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে নারী সংক্রান্ত এসব ইস্যুর ব্যাপারে মি. মরিসন ”বধির”।

রিপোর্টে নেতৃত্বের মান উন্নত করা, নারী-পুরুষের অনুপাত বাড়ানো এবং মদ্যপানের প্রবণতা কমানোর সুপারিশ করা হয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..