রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকালে হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এসব হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন তরুণ নিহত হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন। একটি নাহিদ হত্যায় এবং অপর মামলাটি হয়েছে মোরসালিন হত্যার ঘটনায়।
গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, নাহিদ হত্যাকাণ্ডের যে ফুটেজ রয়েছে সেই ফুটেজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিতকরণের কাজটি অনেক দূর এগিয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছে অথবা আত্মগোপনে আছে। তবে ডিবির একাধিক টিম তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে। শিগগির এ বিষয়ে ভালো ফল জানানো হবে।
চিহ্নিতদের মধ্যে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মাহবুব আলম বলেন, সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে যারা হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তারা সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষ বাধে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরদিন ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী। এ ছাড়া সাংবাদিক-পুলিশসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
ডেলিভারিম্যান নাহিদের নিহতের ঘটনায় বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মুরসালিনের ভাই বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।