রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুরুতে ডিআরএস ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে দ্রুতই। আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত ডিআরএস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে বিসিবি।
মূলত প্রোডাকশন থেকেই ডিআরএস ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বিপিএলে শেষ দুই আসরে ডিআরএস নিয়ে ঝামেলায় পড়ে আয়োজকরা। চাহিদা বেশি থাকায় ডিআরএস ব্যবহার করতে পারেনি। যন্ত্রপাতি থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় প্লে-অফের আগ পর্যন্ত ডিআরএস পায়নি বিপিএল। এডিআরএস দিয়ে কাজ চালাতে হয়েছে; যা নিয়ে চরম বিতর্ক দেখা দেয়।
এই চুক্তির ফলে আগামীতে আর কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেণ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন, ‘আসছে দুটি সিরিজে ডিআরএস তো থাকছেই, বিপিএলেও আগামী চার বছর ডিআরএস পেতে আর কোনও সমস্যা হবে না। অবশ্যই ডিআরএস থাকবে (ইংল্যান্ড সিরিজে)। ডিআরএস নিয়ে তো অনেক কথা হয়েছে। অনেক বিষয় এসেছে। ডিআরএসটা হচ্ছে আমাদের প্রোডাকশনের একটা অংশ। আগে যখন ডিআরএস ছিল না তখন কিন্তু আইসিসি ইভেন্টও হয়েছে। এই প্রযুক্তি আসার পর আইসিসি ডিআরএসটাকে সব আইসিসি ইভেন্টের জন্য বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় আমাদের চেষ্টা ছিল ডিআরএস আনার। আরও চেষ্টা করেছিলাম ডিআরএসটাকে আমাদের প্রোডাকশন টিমের হাতে দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে। কিন্তু এখন এই জিনিসটা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমরা দীর্ঘ মেয়াদের চুক্তিতে যাচ্ছি।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী আরও বলেছেন, ‘সরাসরি যারা ডিআরএস সার্ভিসটা দিয়ে থাকে তাদের সঙ্গেই দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তি করেছি ২০২৭ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট (বিপিএল) হবে, সেখানে এখন থেকে সবসময় ডিআরএস থাকবে।’
বর্তমান সময়ে ডিআরএস ছাড়া ক্রিকেট চিন্তাও করা যায় না। বল ট্র্যাকিং, হক আই, স্নিকোর সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত আরও নিখুঁত হচ্ছে। এজন্য খরচ করতে হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। বিপিএলের শেষ চার ম্যাচের জন্য ডিআরএস আনতে বিসিবির খরচ হয়েছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ/সামাদ